লড়াই: নিজের কথা শোনাচ্ছে মণি। —নিজস্ব চিত্র
কাজকর্ম নেই বাবার। দিন কাটে নেশা করে। হুঁশ ফিরলেই একমাত্র চেষ্টা যেনতেন মেয়েকে পাত্রস্থ করা। একে কঠোর দারিদ্র, অন্যদিকে বাবার বিরুদ্ধে প্রতিদিনের লড়াই। তবুও স্বপ্ন দেখা থামেনি। আর তাতে ভর করেই এ বার উচ্চমাধ্যমিকে গোয়ালপোখর ব্লকে আদিবাসীদের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন মণি কিসকু।
হুল দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠে যখন নিজের গল্প শোনাচ্ছিলেন মণি তখন তাঁর চোখে জল। চোখে জল বিডিও রাজু শেরপারও। মণি বলছিলেন, ‘‘সব কিছু সত্ত্বেও পড়াশোনা চালাচ্ছি। ইচ্ছা রয়েছে কলেজে পড়ার। কিন্তু কী হবে জানি না।’’ বিডিও জানান, তিনি কথা বলেছেন মণির পরিবারের সঙ্গে। চেষ্টা করবেন ওর পাশে দাঁড়াতে।
উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি গোয়ালপোখরের সোল পাড়াতেও এ দিন হুল দিবস পালিত হয়। বাল্য বিবাহ রোধ, শিশু পাচার রোধ সহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি আদিবাসীদের শংসাপত্র প্রদান ও স্বাস্থ্য শিবিরও হয়। গোয়ালপোখরের আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যেই যারা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে তাদের পুরস্কার দেওয়া হয়। কৃতীদের নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলা হয়েছিল। মণির মতো অনেকেই শুনিয়েছেন তাঁদের প্রতিদিনের লড়াইয়ের কথা।
হুল দিবস উপলক্ষে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে চোপড়ার কালাগছ, ইসলামপুরের কালনাগিনও করণদিঘি সহ প্রতিটি ব্লকেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy