উত্তরবঙ্গের দু’টি বড় জলাশয়েই শীতের মরসুমে আসা পরিযায়ীদের সংখ্যা কমেছে। কোচবিহারের রসিকবিল ও ডুয়ার্সের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের আওতাধীন নারারথলি বিলে পাখি গণনার পর এমন তথ্য উঠে এসেছে।
হিমালয়ান নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার ফাউন্ডেশনের (ন্যাফ) তত্ত্বাবধানে বন দফতরের সহযোগিতায় ওই গণনা হয়। শুক্রবার রসিকবিলে গণনার কাজ করেন ন্যাফের সদস্যরা। পরদিন শনিবার নারারথলি বিলে পাখি গণনা হয়। ন্যাফ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক হিসেবের পরে স্পষ্ট, দু’টি জলাশয়েই পাখিদের প্রজাতির বৈচিত্র্য এ বছর গতবারের তুলনায় কমেছে। এতে অশনি সঙ্কেত দেখছেন পরিবেশপ্রেমীরা।
ন্যাফ সূত্রের খবর, গত বছরের তুলনায় নারারথলিতে অন্তত দু’শো পরিয়ায়ী কমেছে। গতবছর ওই বিলে ৩১ প্রজাতির ১৩০০ পাখির সন্ধান মিলেছিল। এ বার মিলেছে ২৬ প্রজাতির ১১০০ পাখি। ২০১৭-এর গণনায় রসিকবিলে ৫০ প্রজাতির ৩৩০০ পাখির সন্ধান মিলেছিল। এ বার পাখির সংখ্যা বেড়ে ৩৮০০ হলেও একটি প্রজাতির পাখি আসেনি। ন্যাফের মুখপাত্র অনিমেষ বসু বলেন, “বিল সংরক্ষণে আরও যত্ন নেওয়া দরকার। প্রস্তাব দেওয়া হবে।” রাজ্যের বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “প্রস্তাব এলে তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”