Advertisement
০৭ মে ২০২৪

কম্পন কোচবিহারে, বহুতল নিয়ে উদ্বেগ

মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হল কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ শুরু হয়ে কম্পন কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৯
Share: Save:

মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হল কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায়। সোমবার সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ শুরু হয়ে কম্পন কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। তবে ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই। যদিও ওই কম্পনের জেরে জেলাজুড়ে বহুতল তৈরি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে বাসিন্দাদের একাংশের। জেলায় বহুতল বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা বাড়ানোর দাবিও উঠেছে।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বহুতল তৈরিতে মাটি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা-সহ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করার ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।” কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ও বাসিন্দাদের সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দিয়েছেন।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছরে বেশ কয়েক বার জেলায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। এর জেরে জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্রের উদ্যোগে জেলায় একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র তৈরির ব্যাপারেও আলোচনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রটি হলে প্রথম বারের কম্পনের পর ‘আফটার শক’-এর আশঙ্কা নিয়ে সতর্কতা বাড়ানো যাবে। প্রশাসনের এক কর্তা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প হলে কী কী সাবধানতা নিতে হবে তা নিয়ে স্কুল, কলেজের পড়ুয়াদের ওয়াকিবহাল করার কথা ভাবা হচ্ছে। আগেও সচেতনতা বাড়াতে কর্মশালা, ব্যানারে প্রচার ইত্যাদি করা হয়।

জেলায় বহুতলের সংখ্যা আগের থেকে বেড়েছে। কোচবিহার শহরেই প্রায় একশো বহুতল রয়েছে। কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে নির্মাণে যথাযথ নজরদারির ব্যবস্থা নেই। যদিও কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রেবা কুন্ডু বলেন, “সমস্ত নিয়মকানুন মেনেই বহুতল তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়।”

এ দিন ভোরে শহর তখনও ঘুম কাটিয়ে আড়মোড়া ভাঙেনি। ইতিমধ্যে কম্পন শুরু হওয়ায় বাসিন্দারা অনেকেই ভয়ে বাড়ি ছেড়ে রাস্তায় চলে আসেন। তবে ক্ষয়ক্ষতি তেমন না হওয়ায় দিনের শেষে স্বস্তি ফেরে সবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Cooch Behar Earthquake
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE