Advertisement
E-Paper

নিজেই ঘরে ফিরল নিখোঁজ হওয়া ছেলে

নিখোঁজ হওয়ার পর দিন ঘরের ছেলে নিজেই ঘরে ফিরল। রবিবার সকালে শিলিগুড়ি থানার টিকিয়াপাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনায় পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরের পরিবারের লোকজন। পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ মহাবীরস্থান এলাকা থেকে সে নিখোঁজ হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৫ ০২:০৫

নিখোঁজ হওয়ার পর দিন ঘরের ছেলে নিজেই ঘরে ফিরল। রবিবার সকালে শিলিগুড়ি থানার টিকিয়াপাড়া এলাকার ঘটনা। ঘটনায় পুলিশের কাছে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন কিশোরের পরিবারের লোকজন।

পুলিশ জানায়, শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ মহাবীরস্থান এলাকা থেকে সে নিখোঁজ হয়। বাড়ির লোকজনের খোঁজাখুঁজিতেও হদিস না মেলায় ওই রাতে থানায় মৌখিক ভাবে জানানো হয়। যদিও সে দিন অপহরণের অভিযোগ করা হয়নি। এ দিন শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।” ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে জেলা চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির পক্ষ থেকেও। এর পিছনে বড় কোনও চক্র কাজ করছে বলে দার্জিলিং জেলা এপিডিআরের পক্ষ থেকেও সন্দেহ করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোরটি স্থানীয় স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। তার বাবা পাঞ্জাবিপাড়ায় বই বাঁধাইয়ের কাজ করেন, মা গৃহবধূ। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসমি চকের কুরেশি মহল্লায় তার দিদার বাড়িতে যাচ্ছিল সে। কিশোরের অভিযোগ, পথে মহাবীরস্থানের কাছে একটি গলিতে তিনজন যুবক তার মুখ চেপে ধরে সাদা গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। তার মুখে কালো কাপড় বেঁধে সেখান থেকে সাউথ কলোনির দিকে গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে।

কিশোরের দাবি, “সাউথ কলোনির কাছে গিয়ে জোর করে আমাকে লাড্ডুর মত কিছু খাইয়ে দেয় ওরা। তার পর থেকে আর জ্ঞান ছিল না। জ্ঞান ফিরলে আরও কয়েক জন বাচ্চার সঙ্গে একটা গুদামের মতো জায়গায় নিজেকে পাই। আমার দু’হাত পিছমোড়া করে বাঁধা ছিল।” তাকে অপহরণকারীরা মারধরও করে বলে সে জানায়। সে আরও জানিয়েছে, অপহরণকারীরা রাতে মদ্যপ অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লে বাচ্চাদের এক জনের হাতের বাঁধন কোনও ভাবে আলগা হয়ে যায়। সে তারও হাত খুলে দেয় বলে জানায় সে। এর পর তারা পালায় বলে সে দাবি করে। অন্য বাচ্চাটি কোথায় গিয়েছে তা সে বলতে পারেনি। পালিয়ে জঙ্গল এলাকা পার হয়ে রাতের অন্ধকারে ঘুরতে ঘুরতে অনেক ক্ষণ পরে সে বুঝতে পারে, ফুলেশ্বরী এলাকায় চলে এসেছে। চেনা জায়গা থেকে নিজেই বাড়ি ফিরে আসে ভোরের দিকে।

সমাজকর্মী সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছেন। চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বাসন্তী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই কিশোরকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হলে তার কাউন্সেলিং করা হবে।” একটি পাচার চক্র এলাকায় সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ এপিডিআরের।

missing boy siliguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy