ভস্মীভূত: বাগরাকোটে পুড়ে যাওয়া গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
রাতভর তাণ্ডব চলল ডুয়ার্সের বাগরাকোটে। এলাকার এক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী পরিবারের দু’টি ট্রাক, একটি ছোট গাড়ি এবং একটি মোটরবাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, তাঁর বাড়িতেও ভাঙচুর চালান মোর্চার বিক্ষোভকারীরা।
সোমবার গভীর রাতে কালিম্পং থানার রম্ভি ফাঁড়ি এলাকার আপার বাগরাকোট এলাকার রাজেশ পারিয়াল নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে চড়াও হয় ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল। মুখে কাপড় বেঁধে আসা হামলাকারীদের থেকে বাঁচতে দোতলা বাড়ির উপরতলার কোণের ঘরে পরিবারের সকলকে নিয়ে আশ্রয় নেন পারিয়াল পরিবারের সকলে। এলাকা ছাড়ার দাবিতে সেখানেও ঢিল পড়ে। পায়ে ঢিল লেগে জখম হয়ে পড়েন রাজেশের স্ত্রী সরিতা পারিয়াল। ভোরবেলা মালবাজার থানার পুলিশ পারিয়াল পরিবারের সকলকে উদ্ধার করে। তাঁদের মালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়।
রাজেশ বাগরাকোট তথা জেলার ট্রাক মালিক সংগঠনের নেতৃত্বে রয়েছেন। পাহাড়ে বন্ধ চলা সত্ত্বেও বাগরাকোট এলাকার ট্রাক কালিম্পঙের সীমায় ঢুকে বালি তুলছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছিল। তাই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনাও তৈরি হয়। সংগঠনের হয়ে এলাকায় গিয়ে তার প্রতিবাদ করেন রাজেশ। তাঁর দাবি ছিল, বালি তোলা হচ্ছে জলপাইগুড়ির এলাকা থেকেই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জনৈক ট্রাক চালকদের বাড়িতে গিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন রাজেশ।
তারপরে মোর্চার স্থানীয় নেতারা বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন। ভাবা হয়েছিল, তাতেই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু রাতেই এলাকার সমাজবিরোধী নেশাগ্রস্ত যুবকেরা তাণ্ডব শুরু করে বলে রাজেশের অভিযোগ। তাদের চোখের সামনেই একের পর এক গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। রাজেশ বলেন, ‘‘কয়েক দশক ধরে বাগরাকোটের বসবাস করছি। এমন দিন যে দেখতে হবে তা ভাবতেও পারিনি।’’ স্থানীয় মোর্চা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকার পরেও যে এ ঘটনা ঘটবে, সেটা ভেবেও চমকে গিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আন্দোলন এখন আর মোর্চার নিয়ন্ত্রণে নেই। সে কারণেই নেশাগ্রস্ত বখাটে ছেলেরা আগুন লাগিয়ে আমাকে বাড়ি ছাড়া করে দিল।’’ মোর্চা নেতারা অবশ্য এই ঘটনা অস্বীকার করেছেন। ঘটনার পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে কালিম্পঙ জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy