প্রতীকী চিত্র।
বাবা-মা-ই এক নাবালিকাকে দেহ ব্যবসায় নামানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নাবালিকার বাবা ও তার প্রতিবেশী এক যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার মহারাজপুর এলাকায়। পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে যায়।
রায়গঞ্জ থানার আইসি অভিজিৎ সরকারের বক্তব্য, আপাতত ওই দু’জনকে আটক করে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে ১৭ বছর বয়সী ওই নাবালিকাকে দেহ ব্যবসায় নামানোর জন্য চাপাচাপি করছেন ওই নাবালিকারই বাবা ও মা। নাবালিকা রাজি না হওয়ায় তাকে তার বাবা ও মা নিয়মিত মারধর করতেন। এ দিন ওই নাবালিকার উপর অত্যাচার চরমে উঠলে সে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানায়। এরপরেই প্রতিবেশীরা ওই নাবালিকার বাবা ও মাকে সতর্ক করেন। তখন ওই নাবালিকার বাবা ও প্রতিবেশী ওই ব্যক্তি প্রতিবেশীদের খুন করার ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ। তখনই প্রতিবেশীরা তাঁদের আটক করে দু’টি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
প্রতিবেশীদের তরফে গৃহবধূ রাখি সাহার দাবি, ‘‘ওই নাবালিকা দেহ ব্যবসায় নামতে রাজি হচ্ছিল না। সেই কারণে, তার বাবা ও মা দীর্ঘ দিন ধরেই মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছিলেন। আমরা প্রতিবাদ করায় ওই নাবালিকার বাবা এক দুষ্কৃতীকে সঙ্গে এনে আমাদের খুন ও দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপরেই প্রতিবেশীরা একজোট হয়ে অভিযুক্তদের আটক করে পুলিশে খবর দেন।’’ ওই নাবালিকাও একই অভিযোগ করেছেন। যদিও নাবালিকার বাবার দাবি, ‘‘এলাকার কিছু লোক কোনও আক্রোশ বশত মেয়েকে ভুল বুঝিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা আইনের পথে যাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy