Advertisement
E-Paper

হেমন্ত এমন! অবাক পাড়া

এলাকার বাসিন্দাদের নথি দিয়ে একের পর এক সিমকার্ড ‘অ্যাক্টিভ’ করে সেগুলি পলাতক মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গের কাছে হেমন্ত পৌঁছে দিত বলে পুলিশ মনে করছে। গুরুঙ্গ ছাড়াও গোপন ডেরায় লুকিয়ে থাকা মোর্চার বিভিন্ন নেতার কাছেও সিমকার্ড শিলিগুড়ি থেকেই পৌঁছত বলে পুলিশের দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৬
তল্লাশি: হেমন্তের দোকানে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

তল্লাশি: হেমন্তের দোকানে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।

হাসিমুখ ছাড়া কেউ কখনও তাঁকে এলাকায় নাকি দেখাই যেত না। স্বভাবও খুব শান্ত। হাসিমুখ আর শান্ত মেজাজের আড়ালে গভীর ষড়যন্ত্রের নকশা লুকিয়ে থাকতে পারে, সেটা জেনেই বিস্মিত মিলনমোড়ের বাসিন্দারা।

শুক্রবার দুপুরে চম্পাসারির মিলনমোড়ে মোবাইল সেট এবং সিমকার্ডের দোকানে যখন মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হেমন্ত গৌতমকে নিয়ে পুলিশ যখন তল্লাশি চালাচ্ছে বাইরে তখন উৎসাহীদের ভিড়। শোনা গেল, সিমকার্ড নেওয়ার সময়ে হেমন্তের অনুরোধে কেউ দুই কপি পাসপোর্ট ছবি বেশি দিয়েছেন, কারো দাবি কাগজপত্র জমা রাখলেও সিমকার্ড ‘দিচ্ছি-দেব’ করে দেওয়া হয়নি।

এলাকার বাসিন্দাদের নথি দিয়ে একের পর এক সিমকার্ড ‘অ্যাক্টিভ’ করে সেগুলি পলাতক মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গের কাছে হেমন্ত পৌঁছে দিত বলে পুলিশ মনে করছে। গুরুঙ্গ ছাড়াও গোপন ডেরায় লুকিয়ে থাকা মোর্চার বিভিন্ন নেতার কাছেও সিমকার্ড শিলিগুড়ি থেকেই পৌঁছত বলে পুলিশের দাবি। সেই সব সিমকার্ডের মাধ্যমেই গুরুঙ্গ অনুগামীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন বলে দাবি পুলিশের। এমনকী নাশকতার পরিকল্পনাও ছকা হতো সেগুলির মাধ্যমে। হেমন্ত এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাঁকে নিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালাতে গেলে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করেছিল পুলিশ। যদিও মিলমনমোড়ে ঘণ্টাখানেক হেমন্তকে নিয়ে তল্লাশির সময়ে বাসিন্দাদের কাউকেই এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।

তাদের দেওয়া নথি দিয়ে তোলা সিমকার্ড নাশকতার ষড়যন্ত্রে ব্যবহার হতো শুনেই শিউরে উঠেছেন সকলে। হেমন্তের এক পড়শির দাবি, ‘‘অনেক সময়ে নানা কারণে আমার এবং বাড়ির কয়েকজনের তেকে পাসপোর্ট ছবি নিয়েছিল ও। আমার নামে তোলা সিমে গুরুঙ্গ কথা বলে তাকতে পারে শুনেই আতঙ্কে রয়েছি।’’ এলাকার বাসিন্দা সীমা প্রধানের দাবি, ‘‘কেওয়াইসি দিতে হবে বলে দু’বার করে আমার থেকে ছবি পরিচয় পত্র নিয়েছিল। এখন বুঝছি সে সব দিয়ে জাল সিমকার্ড তোলা হয়েছে।’’

এ দিন তল্লাশিতে বেশ কিছু আপত্তিকর নথিও পুলিশ পেয়েছে বলে দাবি। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার ডাক দিয়ে ছাপানো বেশ কিছু লিফলেট, চিঠিও মিলেছে বলে দাবি। মোবাইলের দোকান থেকে কাকে সিমকার্ড বিলি হতো সে সবের কোনও তথ্যও রাখা হতো না বলে দাবি। পুলিশ অফিসারের দাবি, ‘‘ভুয়ো নথি দিয়ে সিম তোলা হতো বলেই কোনও তথ্য রাখা হতো না।’’ হেমন্তের পরিবার অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। হেমন্তের ভাই সুশীল গৌতম বলেন, ‘‘মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এটা ষড়যন্ত্র। দোকান থেকেও কোনও আপত্তিকর কিছু উদ্ধার হয়নি। আদালতে সব প্রমাণ হবে।’’

Darjeeling Unrest GJM Mobile Shop Sim Card Bimal Gurung শিলিগুড়ি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy