খাতায়-কলমে নিয়ম একই রয়েছে৷ শুধু বালাই নেই তা মানার।
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে হেলমেট ছাড়া পেট্রোল নেওয়া এখন কার্যত সাধারণ নিয়মে দাঁড়িয়ে গিয়েছে৷ অভিযোগ, বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্প থেকেই উঠে গিয়েছে কড়াকড়ির ব্যাপারটা৷ নেই পুলিশি নজরদারিও৷
উত্তরবঙ্গের বাকি জেলার মতই জলপাইগুড়িতেও কয়েকমাস আগে হেলমেট নিয়ে ব্যাপক কড়াকড়ি শুরু হয়৷ হেলমেট পরার অভ্যাস করাতে জেলার পুলিশ কর্তারা সেই সময় বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পে হেলমেট বিক্রির কথাও বলেছিলেন৷ সঙ্গে পাম্পগুলিতে লাগানো হয় ‘নো হেলমেট নো পেট্রোল’ পোস্টারও ৷
জলপাইগুড়ির বিভিন্ন পাম্পে এখনও সেই পোস্টারগুলি একইভাবে লেগে রয়েছে৷ নেই শুধু সেই নিয়ম মানার কড়াকড়ি৷ অথচ, শুরুর দিকে কেউ হেলমেট ছাড়া পাম্পে গেলে পাম্প কর্মীরাই তাঁকে ফিরিয়ে দিতেন৷ তাহলে এখন কী এমন ঘটনা ঘটল যে তা বন্ধ হয়ে গেল? শহরের ডিবিসি রোডের এক পেট্রেল পাম্প মালিক পার্থ সরকার বলেন, ‘‘নিয়ম কেমন যেন শিথিল হয়ে গিয়েছে৷ ফলে প্রথম প্রথম আমরা হেলমেট ছাড়া পেট্রোল না দিলেও, এখন আর সেভাবে না বলা হয় না৷ তবে আমাদের পাম্প থেকে যারা পেট্রোল ভরাতে আসেন তাদের আশি শতাংশই হেলমেট পরে আসেন৷’’ শহরের আরেক পেট্রোল পাম্প মালিক অরুণ নন্দী বলেন, ‘‘নোট বাতিলের পর থেকেই ওই সমস্যা নিয়েই গ্রাহক বা পাম্পকর্মী সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়েন৷ ফলে নো হেলমেট নো পেট্রোলের নিয়মটা একটু ঢিলে পড়ে যায়৷ তবে কর্মীদের বলে দেব আবার এ বিষয়ে কড়া হতে৷’’
তবে গোটা বিষয়ে নজরদারির ক্ষেত্রে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে৷ যদিও জেলার পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি নিয়ে পুলিশ অবগত রয়েছে৷ নো হেলমেট নো পেট্রোল নিয়ম যাতে জেলায় কড়াভাবে চালু থাকে সে ব্যাপারে শীঘ্রই ফের পাম্প মালিকদের নিয়ে বৈঠক করা হবে৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy