Advertisement
E-Paper

জল বাড়ছে গঙ্গায়, গ্রামে আতঙ্কও

বিহারের ধুবল সিদকিয়া গ্রামে ফুলহর নদীর বাঁধ ভেঙে ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। গতবছর অবশ্য জেলায় বন্যা হয়নি। তবে ব্যাপক নদী ভাঙনে জেরবার হয় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০২:০৩
ভাঙন: পারলালপুরে গঙ্গায় অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া চলছে। নিজস্ব চিত্র

ভাঙন: পারলালপুরে গঙ্গায় অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া চলছে। নিজস্ব চিত্র

গঙ্গার জল বাড়তে শুরু করে। মালদহ জেলার ভাঙন কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে বাড়ছে আতঙ্কও। বিশেষ করে, ভাঙন কবলিত কালিয়াচক-৩, মানিকচক ও রতুয়া-১ ব্লকের গঙ্গাপাড়ের গ্রামগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে বেশি। বেশকিছু এলাকায় সেচ দফতরের তরফে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়নি। সেই এলাকাগুলিতে ভাঙনের আশঙ্কা বেশি রয়েছে। এদিকে, জেলায় বাড়ছে ফুলহর ও মহানন্দা নদীর জলও। যদিও সেচ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক নয়।

বিহারের ধুবল সিদকিয়া গ্রামে ফুলহর নদীর বাঁধ ভেঙে ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায়। গতবছর অবশ্য জেলায় বন্যা হয়নি। তবে ব্যাপক নদী ভাঙনে জেরবার হয় জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষ করে, গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যায় বিঘার পর বিঘা আবাদি জমি ও ঘরবাড়ি। এবারও মরসুমের শুরুতে ফের বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গার জল। আর তাতেই ভাঙনের আতঙ্ক গ্রাস করেছে জেলার গঙ্গাপাড়ের বাসিন্দাদের। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গা নদীর ভাঙন ঠেকাতে গতবছর কালিয়াচক-৩ ব্লকের পারলালপুর থেকে পারঅনুপনগর পর্যন্ত এক কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়েছিল। কিন্তু গঙ্গার জলের তোড়ে সেই কাজ বেশ কিছু জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ বছরের শুরুতে পারলালপুরের রাধাগোবিন্দ মন্দির থেকে উজানে থাকা অনুপনগর পর্যন্ত ৪৬০ মিটার এলাকায় বালির বস্তা পিচিং করে গত বছরের সেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হয়। কিন্তু পারঅনুপনগরের উজানে থাকা গোলাপমণ্ডলপাড়া, পারপরানপাড়া, খাসপাড়া, খোয়ারপাড়া এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধের কোনও কাজ এবার হয়নি। আর তাই গঙ্গার জল বাড়তে শুরু করায় আতঙ্ক বাড়ছে।

গোলাপ মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা অর্জুন মণ্ডল বলেন, ‘‘গত বছর ভাঙনে আমার ১০ বিঘা আবাদি জমি গঙ্গা গিলে নিয়েছে। এখন ভরসা শুধু সামান্য কিছু জমি ও নিজের ভিটেটুকু। এখানে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়নি। এবারও যদি ফের জোর ভাঙন হয়, তবে বাড়ি টিকিয়ে রাখতে পারব কিনা জানি না।’’ এই গ্রামেরই আরেক বাসিন্দা রতন মণ্ডলের টিনের বাড়ি। তিনিও বলেন, ‘‘গঙ্গার জল বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙন জোরদার শুরু হলে ঘরবাড়ি হয়তো এবার সরাতে হবে।’’ গঙ্গা ভাঙ্গনের আতঙ্কে উদ্বেগে ছড়িয়েছে মানিকচক ব্লকের ভূতনির নন্দীটোলা, কালুটোন টোলা, বাঘেদান টোলা, নীলকণ্ঠটোলা গ্রামেও। সেচ দফতরের মালদহ ডিভিশনের নির্বাহী বাস্তুকার প্রণব সামন্ত বলেন, ‘‘রাজকুমার টোলা, পারলালপুর-সহ বেশ কিছু এলাকায় গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের কাজ হয়েছে। যে সমস্ত এলাকা ভাঙন প্রবণ রয়েছে সেগুলিতে অস্থায়ীভাবে কিছু কাজ করা যায় কিনা তা নিয়ে দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। জল বাড়তে শুরু করলেও এখনও উদ্বেগের কিছু নেই।’’

Rain Flood Ganges
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy