Advertisement
E-Paper

পার্টির পর পিকনিক

এতদিন কোচবিহারে ৩১ ডিসেম্বর বলতে সকাল থেকেই পিকনিক। গাড়ি ভাড়া করে কেউ ছুটছে রসিকবিল তো কেউ রকি আইল্যান্ড থেকে ডুয়ার্সের নানা স্পটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০১:৪৪
খুশি: বর্ষশেষের দিন মনের আনন্দে পিকনিকে। বালুরঘাটে। ছবি: অমিত মোহান্ত

খুশি: বর্ষশেষের দিন মনের আনন্দে পিকনিকে। বালুরঘাটে। ছবি: অমিত মোহান্ত

কেউ দিনভর অপেক্ষায় ছিলেন রাতের পার্টির জন্য। কেউ বা অপেক্ষা না করে সকালেই সপরিবারে বেড়িয়ে পড়েছেন আশেপাশের পর্যটন কোনও কেন্দ্রে। সকাল থেকে শিলিগুড়ির রাস্তা দেখে বোঝাই গেল না দিনটা রবিবার। সন্ধ্যে থেকে দল বেঁধে হিলকার্ট রোড, সেবক রোডের রাস্তায় বাসিন্দারা। যানজট ঠেকাতে এ দিন শহরে বাড়তি পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। শহরের হোটেল থেকে অভিজাত ক্লাব সবেতেই ছিল বর্ষবরণের আয়োজন। রাস্তার ফুটপাতের পাশে ঠেলাভ্যানের খাবারের দোকানেও এ দিন ঝুলেছে আলোর মেলা। গাড়িসওয়ার হোক বা হাঁটা পথে বাসিন্দারা উৎসবে মেতে উঠেছেন নিজের মতো করে।

এতদিন কোচবিহারে ৩১ ডিসেম্বর বলতে সকাল থেকেই পিকনিক। গাড়ি ভাড়া করে কেউ ছুটছে রসিকবিল তো কেউ রকি আইল্যান্ড থেকে ডুয়ার্সের নানা স্পটে। রাতেও অনেকে বাড়ির কাছাকাছি মিউজিক বক্স বাজিয়ে আয়োজন করত পিকনিকের। কোচবিহারের মতো প্রান্তিক শহরেও এখন এই চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। বড় শহরগুলির মতোই পাল্লা দিয়ে হোটেল, পানশালা থেকে বিভিন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে আয়োজন হয়েছে ‘রাতভর পার্টি’র। কেউ কেউ আবার নিজেরাই সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আয়োজন করছে অনুষ্ঠানের। কলকাতা থেকে শিল্পীদের এনে রাতভর আনন্দে মাতোয়ারা হবেন বাসিন্দারা।

কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান ভূষণ সিংহ হোটেল মালিক। সেখানে পানশালাও রয়েছে। তিনি জানান, পানশালায় গানের অনুমতি বরাবর রয়েছে। এ ছাড়াও আলাদা ভাবে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা পরিচিত, আত্মীয়রা ওই অনুষ্ঠানে মিলিত হব। কলকাতার শিল্পীরা থাকবেন অনুষ্ঠানে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই এমন উদ্যোগ।” এ ছাড়াও বিশ্বসিংহ রোড, রাজবাড়ি স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা সহ শহরের একাধিক জায়গায় এবং হোটেলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠান থাকছে রাজবাড়ির উল্টোদিকের একটি পানশালাতে। চিত্রশিল্পী শ্রী হরি দত্ত বলেন, “শহরের বদলে যাওয়া আমাদের চোখে ধরা পড়ছে প্রতিদিন। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এখন এই শহরেও বড় অনুষ্ঠান হচ্ছে। আগে পিকনিক করেই দিন কাটাতেন।”

ধূপগুড়ি পুরসভা শহরের মেন রোড, থানা রোড, পুরসভা অফিস, হাসপাতাল, শ্মশান এলাকাকে রং বেরংয়ের আলোর মালার সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। সঙ্গে চলছে নববর্ষকে স্বাগত জানানোর বিভিন্ন সঙ্গীত। ফালাকাটায় অয়োজন ছিল ব্যতিক্রমী। সঙ্ঘশ্রী সংঘ বর্ষবরণকে স্মরনীয় করে রাখতে আয়োজন করেছে রক্তদান শিবিরের। এছাড়া সংঘের পক্ষ থেকে বাইক চালকদের হেলমেট বিতরন করা হয়।

রবিবার সন্ধ্যা থেকে উৎসবে মাতে জলপাইগুড়িও। ডুয়ার্সের বিভিন্ন রিসর্টে গভীর রাত পর্যন্ত চলে অনুষ্ঠান৷ জলপাইগুড়ি শহর থেকেও প্রচুর মানুষ সেখানে ভিড় জমান৷ জলপাইগুড়ি বাসিন্দা প্রিয়া সরকার, নীলাদ্রী কররা বলেন, এদিন প্রচুর আনন্দ করেছি৷

Cooch Behar Picnic
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy