ঘটনাস্থলে মেলা ধনুকের গন্ধ শোঁকানো হচ্ছে পুলিশ কুকুরকে। ছবি: নারায়ণ দে।
চিতাবাঘ মেরে দেহাংশ কেটে নেওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করল বনদফতর। বুধবার চাপাতলি গ্রামে বনদফতরের স্নিফারডগ রানিকে নিয়ে এলাকায় তল্লাশি চালায় বনদফতর, পুলিশ ও এসএসবি। মঙ্গলবার দুপুরে কালজানি নদীর ধারে কাশবনের কাছে কাঠ কুড়োতে গিয়ে প্রথমে চিতাবাঘের আক্রমণে জখম হন এক মহিলা। পরের দেড় ঘণ্টায় আরও পাঁচজনকে জখম করে চিতাবাঘটি। এর পরেই গ্রামবাসীরা চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে নেওয়া হয় তার দেহের নানা অংশ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ার থানায় চারজন গ্রামবাসীর নামে অভিযোগ জমা দিয়েছে বনদফতরের আধিকারিকরা। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘‘তদন্তের স্বার্থে এদের নাম প্রকাশ করা যাবে না।’’
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এফডি উজ্জল ঘোষ জানান, একজন মহিলাকে চিতাবাঘটি জখম করে। তারপরেই গ্রামের লোকজন সেখানে গিয়ে চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে মারে। পরে খবর দেওয়া হয় বনদফতরকে।
বুধবার চাপাতলি গ্রামে বনদফতরের স্নিফার ডগ রানিকে নিয়ে যান বনাধিকারিকরা। কাশবনের ভেতর যেখানে চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে মারা হয়েছিল, সেখানে পাওয়া যায় একাধিক রক্ত মাখা বাঁশ ও একটি ধনুক। স্নিফারডগটি ধনুকের গন্ধ শুঁকে এলাকায় কিছু ক্ষণ ঘোরাঘুরি করে। পরে রক্ত মাখা বাঁশের টুকরোর গন্ধ শুঁকে কালজানি নদী পর্যন্ত গিয়ে থেমে যায়। বনাধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, চিতাবাঘটিকে মেরে তাঁর শরীরের অংশ কেটে গামছায় বেঁধে এক ব্যক্তি নিয়ে যায়। বনকর্মীরা সেই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন।
এ দিন চিতাবাঘের হামলায় জখম জর্নাদন রায়ের বাড়িতেও যান বনাধিকারিকরা। স্নিফারডগ সঙ্গে থাকায় প্রথমে তাঁদের বাড়িতে ঢুকতে দিতে আপত্তি করেন পরিবারের লোকজন। বিছানায় শুয়ে জর্নাদন জানান, তিনি আধা সামরিক বাহিনীতে কাজ করেন। ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন। চিতাবাঘ বেরিয়েছে শুনে নিজেদের কলা বাগানে যান। সেখানে চিতাবাঘটি তাঁর মাথায় থাবা মারে। মাথায় দশটি সেলাই পড়েছে। বনকর্মীদের একাংশর সন্দেহ, পরিকল্পনা করেই চিতাবাঘটিকে মেরে শরীরের অংশ কেটে নেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy