Advertisement
E-Paper

হিরের দোকানে তল্লাশি

পুলিশ তল্লাশিতে কোনও সাহায্য না করলেও শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অফিসারেরা সিটি সেন্টারে ছিলেন। রাতের দিকে ইডির অফিসারের বড় দু’টি ট্রাঙ্ক মলের ভিতরে নিয়ে যান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:২০
তদন্ত: শিলিগুড়ির একটি বিপণিতে ঢুকছেন ইডি কর্মী। নিজস্ব চিত্র

তদন্ত: শিলিগুড়ির একটি বিপণিতে ঢুকছেন ইডি কর্মী। নিজস্ব চিত্র

কলকাতা, দুর্গাপুরের পর এ বার শিলিগুড়িতেও দুটি হিরের গয়নার শোরুমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) তল্লাশি শুরু হল। মেহুল চোক্সীর গীতাঞ্জলি জুয়েলস-এর একাধিক ব্রান্ডের হিরের আউটলেটে গভীর রাত অবধি তল্লাশি হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সেবক রোডের একটি শোরুমে যান ইডি’র অফিসারেরা। সেখানে ঘণ্টা তিনেক তল্লাশির পর সন্ধ্যার আগে সিটি সেন্টারে গিয়ে একটি বড় বিপণি সংস্থার গয়নার আউটলেটে তল্লাশি শুরু হয়।

পুলিশ তল্লাশিতে কোনও সাহায্য না করলেও শিলিগুড়ি কমিশনারেটের অফিসারেরা সিটি সেন্টারে ছিলেন। রাতের দিকে ইডির অফিসারের বড় দু’টি ট্রাঙ্ক মলের ভিতরে নিয়ে যান। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, সেবক রোড শাখা লেখা ট্রাঙ্কের হিরে গয়নাগুলি বাজেয়াপ্ত করার পর ভরা হয়। চারজন অফিসারের নেতৃত্বে দলটিতে ৭ জন ছিলেন। তল্লাশি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি অফিসারেরা। মাঝে মধ্যে মলের বাইরে এসে মোবাইলে কথা বলে ফের ভিতরে ঢুকে পড়েন।

ইডি-র কলকাতার এক আধিকারিক জানান, শিলিগুড়ি শহর এবং লাগোয়া এলাকায় অন্ততটি ৫টি শোরুমে গীতাঞ্জলির হিরের গয়না বিক্রি হয়। তবে এক্সক্লুসিভ আউটলেটের মাধ্যমে তিন জায়গায় তা বিক্রি করা হয়েছে। সেবক রোড, বিধান রোড ছাড়াও সিটি সেন্টারের বিপণিতে বিক্রি হত। সেগুলিতে বর্তমানে কত টাকার হিরের গয়না রয়েছে সেগুলি দেখা হচ্ছে। মালপত্রগুলি বাজেয়াপ্ত করা ছাড়াও রসিদ, নথিপত্র নেওয়া হয়েছে।

এ দিন ইডি-র অফিসারেরা সিটি সেন্টারে ঢুকেই সরাসরি বিপণিতে যান। ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার পর পরিচয়পত্র দেখিয়ে গেটের ডানদিকে থাকা গয়নার আউটলেটে তল্লাশি শুরু হয়। শো-রুমের সাজান এবং লকারে রাখা সমস্ত গয়না বার করানো হয়। বিপণিটি বাসিন্দাদের জন্য রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ খোলা ছিল। গ্রাহকদের ঢুকতে বা বার হতে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র ভিতরে কোনও ছবি তুলে দেওয়া হয়নি। মলের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে এলাকাটি ঘিরে রাখা ছিল। সিটি সেন্টারে ঘুরতে আসা অনেকেই তল্লাশির খবর শুনে উঁকিঝুকি দেন। সাড়ে ৯টার পর সিটি সেন্টারের দোকান ও বিপণিগুলি বন্ধ হতে থাকে। গ্রাহকেরা চলে গেলে শেষে লোহার গেট নামিয়ে দেওয়া হয়। ভিতরে অফিসারদের ল্যাপটপের হিসাব, রসিদ বই পরীক্ষা করতে দেখা যায়।

বিপণির কয়েকজন কর্মী জানান, গত কয়েক দিন ধরে ওই ব্র্যান্ডের হিরে এবং সোনার গয়নার কোনও বিক্রি হয়নি। এখনও যে পরিমাণ গয়না রয়েছে, তার দাম কম করে ২০/২৫ লক্ষ টাকা হবে।

ইডির অফিসারেরা সেগুলিই খতিয়ে দেখেছেন। উল্লেখ্য, গত বুধবারই বিধান রোডের গীতাঞ্জলি শো-রুমের সাইনবোর্ড পাল্টে দিয়েছেন মালিকপক্ষ। সাত বছর আগে চুক্তি শেষ হলেও সাইনবোর্ড রেখেই তিনি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও ওই শোরুমে ইডির অফিসারেরা এ দিন যাননি।

Police Diamond Shops Jewellery Searching Gitanjali Mehul Choksi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy