চাঁচলে ঘেরাও অধ্যক্ষ। নিজস্ব চিত্র।
কয়েক মাসের ব্যবধানে ফের ছাত্র বিক্ষোভ শুরু হল।
দুই ছাত্র নেতাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল ছাত্র পরিষদ। সোমবার বিকেলে মালদহের চাঁচল কলেজে ঘটনাটি ঘটে। অ্যাডমিট কার্ড বিলি করার সময় নথিপত্র লোপাটকে ঘিরে এ দিন দুপুর থেকেই কলেজে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয় অ্যাডমিট কার্ড বিলি। ছাত্র পরিষদের দুই নেতা নথি লোপাট করেছেন বলে কলেজ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানান। তারপরেই মিথ্যা অভিযোগে তাদের ফাঁসানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্র পরিষদ। ঘন্টা দু’য়েক ঘেরাওয়ের পর পুলিশের আশ্বাসে সন্ধে সাতটায় ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়। তবে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হলে কলেজ অচল করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে ছাত্র পরিষদ।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপেশ লাহিড়ী বলেন, ‘‘কলেজে কোনও সমস্যা নেই। কিছু ছাত্র সমস্যা তৈরি করছে। যা হয়েছে তা পুলিশকে জানিয়েছি। বাকিটা পুলিশের বিষয়।’’
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৩০ মে থেকে বিএ পার্ট ওয়ান ও পার্ট টু-এর ফাইনাল পরীক্ষা। সোমবার থেকে কলেজে পরীক্ষার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড বিলি করা শুরু হয়। দুপুরে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার সময় এক শিক্ষাকর্মী গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরেই দেখা যায়, অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার পর পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর করে রাখা রেজিস্ট্রারের নথি লোপাট। এরপরেই অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া বন্ধ করে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। দূর থেকে পরীক্ষার্থীরা হাজির হলেও অ্যাডমিট কার্ড না পেয়ে ক্ষোভ ছড়াতে শুরু করে। লোপাট হওয়া নথি না মিললে অ্যাডমিট বিলি করা হবে না বলে কলেজের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর বিকেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ দুই ছাত্র পরিষদের নেতার নামে পুলিশে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ। ঘণ্টা দু’য়েক ঘেরাও চলার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
ছাত্র পরিষদের অবশ্য অভিযোগ, গরমে এক শিক্ষাকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ার পর যে দুজনে ওই কর্মীকে তুলে নিয়ে অফিসঘরে নিয়ে আসেন তাঁদের বিরুদ্ধেই নথি লোপাটের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কেন তাঁরা ওই কর্মীকে নিয়ে আসলেন, সেই প্রশ্নও তোলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলে অভিযোগ। এদিন কলেজে কয়েকশো পড়ুয়া হাজির ছিল।
নথি লোপাটে অভিযুক্ত ছাত্র পরিষদ নেতা নাজিমুল হকের অভিযোগ, ‘‘আমি অসুস্থ শিক্ষাকর্মীকে কেন নিয়ে এলাম, ওটা কলেজের কাজ বলে অধ্যক্ষ আমার উপরেই চোটপাট শুরু করেন। তারপর আমার বিরুদ্ধেই নথি লোপাটের অভিযোগ করা হয়।’’ কলেজের ছাত্র পরিষদের জিএস মহম্মদ ফিরদৌস ইসলামও বলেন, ‘‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পক্ষপাতিত্ব করে কলেজ চালাচ্ছেন। দুই কর্মীকে অযথা ফাঁসানোর চেষ্টা হলে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।’’
চাঁচলের এসডিপিও রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ গোটা ঘটনাই খতিয়ে দেখছে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy