ঢাক বাজানোর মহড়া। — নিজস্ব চিত্র।
এ বার উৎসবে আলো জ্বলবে। বাজবে ঢাক। তাই চারদিকে সাজো সাজো রব। এত দিন কী ভাবে কেটে যেত দুর্গাপুজো, চার দেওয়ালের মধ্যে বসে তা টেরই পেতেন না তাঁরা। আলিপুরদুয়ার বিশেষ সংশোধনাগার জেলা সংশোধনাগারের মর্যাদা পাওয়ার পর এ বারই প্রথম পুজো হচ্ছে এখানে।
আলিপুরদুয়ার জেলা সংশোধনাগারের পুরুষ বন্দির সংখ্যা প্রায় ২১৮ জন। মহিলা বন্দি ১৪ জন। আর শিশু রয়েছে তিন জন। সংশোধনাগারের সুপারিনটেন্ডেন্ট কানাইলাল জানা বলেন, “মাস কয়েক আগে জেলা সংশোধনাগার হওয়ার পর কারা দফতরের ডিজি অরুণকুমার গুপ্তার কাছে এখানে দুর্গাপুজো করার জন্য আবেদন করা হয়েছিল। অনুমতি মেলায় হচ্ছে পুজো। আধিকারিক ও কারাবন্দিদের নিয়ে গঠিত হয় পুজো কমিটি। আধিকারিক ও কারারক্ষীরা পুজোর চাঁদা দিচ্ছেন। বাজেট প্রায় তিরিশ হাজার টাকা।”
সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট মণ্ডপ করে সাড়ে পাঁচ ফুট উচ্চতার দুর্গা প্রতিমার পুজো হবে। পঞ্চমীর দিন বিকেলে প্রতিমা আনা হবে সংশোধনাগারে। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই উৎসবে মেতে উঠবেন কারাবন্দিরা। পুজোর জোগার, ভোগ রান্না, প্রসাদ বিতরণ সবেরই দায়িত্ব ভাগ হয়েছে। শামুকতলার কার্তিকা চা বাগানের বিঘা শ্রমিক কল্যাণ বারলা খুনের চেষ্টায় ৫ বছরের সাজা প্রাপ্ত কয়েদি। কল্যাণ জানান, সাড়ে চার বছর ধরে আলিপুরদুয়ার সংশোধনাগারে রয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ আগে পাড়ার পুজোয় ঢাকিদের থেকে ঢাক নিয়ে বাজাতাম। জেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি ঢাক আনার জন্য। তাঁরা অনুরোধ রেখেছেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত ঢাক বাজাব আমি।’’ সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে অষ্টমীতে বিশেষ ভোগ ও দশমীতে পাঁঠার মাংস ভাত খাওয়ানো হবে সবাইকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy