প্রতীকী ছবি।
টেবিলের এক দিকে থাকবেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশের মতো তাবড় নেতা, অন্য দিকে বিজেপির জেলা সভাপতি। একঘণ্টা চলবে প্রশ্নোত্তর। জেলার সভাপতি ছাড়াও পর্যবেক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট জেলার লোকসভা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের আজ বৃহস্পতিবার ডেকে পাঠানো হয়েছে শিলিগুড়িতে। এমজি রোডের একটি অতিথি নিবাসে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলবে উত্তরবঙ্গ ভিত্তিক সাংগঠনিক আলোচনা। প্রতি জেলার জন্য বরাদ্দ এক ঘণ্টা। অভিনব এই বৈঠকের মধ্যে দিয়ে একদিকে যেমন সব জেলা নেতাদের সঙ্গে মুকুল রায়ের পরিচয় হবে তেমনই পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলাভিত্তিক সংগঠনের পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার নিবিড় সুযোগ হবে বলে মনে করছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা।
বিজেপির উত্তরবঙ্গের জোনের আহ্বায়ক রথীন বসু বলেন, ‘‘এমন ভাবে বৈঠক বিন্যাস করা হয়েছে যাতে এক জেলার সমস্যা সমাধান হওয়ার আগেই আলোচনায় অন্য জেলার পরিস্থিতি না ঢুকে পড়ে। প্রতিটি জেলার কথা আলাদা করে শোনা হবে। পঞ্চায়েত এমনকী লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হবে। মুকুল রায়ের সঙ্গে সকলে পরিচিতিও হবেন।’’
উত্তরবঙ্গের এখনও অন্তত ২০ শতাংশ বুথে দলের কোনও সংগঠন নেই তা স্বীকার করে নিয়েছেন বিজেপি নেতারা। রথীনবাবুর কথায়, ‘‘আমরা আশি শতাংশ বুথে কমিটি তৈরি করেছি। বাকি বুথগুলিতেও দ্রুত কমিটি হবে।’’ তবে ঘটনা হল, যে সব বুথে কমিটি হয়েছে সেগুলিতেও সংগঠনের জোর কতটা তা নেতৃত্বের কাছে অজানা। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে অনেক জেলা থেকেই বুথওয়াড়ি কমিটির তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেই কমিটি কতটা ‘দেখানো’ আর কতটা বাস্তবিক তাই পরখ করে নিতে চাইছে বিজেপি। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘হয়তো দেখা যাবে একটি বুথে পাঁচ জনের কমিটি আছে। যাঁদের নাম আছে তাঁরাই হয়তো জানেন না যে কমিটিতে রয়েছেন। আবার কোথাও দেখা যাবে, গালভরা কমিটি রয়েছে কিন্তু পোস্টার লাগানোর লোক নেই। সে সবই বোঝার চেষ্টা করা হবে।’’
বুথে সক্রিয় সংগঠন ছাড়া পঞ্চায়েত ভোটে ভাল ফল অসম্ভব তা জানানো হয়েছে জেলাগুলিকে। পঞ্চায়েত ভোট ঘুরলেই লোকসভা ভোট। পঞ্চায়েত থেকে তার জন্য প্রস্তুতি না নিলে ঝুলি ভর্তি হবে না বলে দাবি। সে কারণেই আপাতত নজর নিচুতলায়। জেলাগুলির সঙ্গে আলাদা বৈঠক করে বুথস্তরে সংগঠনের হাল দেখার পরে উত্তরের ব্লকে ব্লকে যাওয়ার কথা দিলীপ-মুকুলদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy