E-Paper

টয় ট্রেনের লাইন আর সড়কপথ মিলিয়ে চওড়া রাস্তার ভাবনা

শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত প্রায় ৭৭ কিমি রাস্তা রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার একাধিক রাস্তার মধ্যে রয়েছে পুরনো ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ০৮:৪৮
৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে টয় ট্রেন ও রাস্তা মিলিয়ে একটাই চওড়া রাস্তা করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।

৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে টয় ট্রেন ও রাস্তা মিলিয়ে একটাই চওড়া রাস্তা করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। — ফাইল চিত্র।

শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং সদর যাওয়ার আর একটি বিকল্প সড়ক নিয়ে সমীক্ষা শুরু হয়েছে। সেখান থেকে কোনও দিগ্‌নির্দেশ না মেলা অবধি ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে টয় ট্রেন ও রাস্তা মিলিয়ে একটাই চওড়া রাস্তা করা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার কালিম্পঙে দলীয় বৈঠকে যোগ দেন সাংসদ রাজু বিস্তা। সেখানেই তিনি আলোচনা প্রসঙ্গে বিষয়টি জানান। এই রাস্তা নিয়ে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক এবং রেল মন্ত্রক যৌথ ভাবে আলোচনা শুরু করেছে বলে সাংসদের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে খুব কম ট্রেনই চলে। তাই রেলের উঁচু অংশকে রাস্তার সঙ্গে মিলিয়ে নিয়ে চওড়া রাস্তার কথা ভাবা হচ্ছে।’’

শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত প্রায় ৭৭ কিমি রাস্তা রয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার একাধিক রাস্তার মধ্যে রয়েছে পুরনো ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর পরে রয়েছে পাঙ্খাবাড়ির রাস্তা। পার্বত্য পরিষদের চেয়ারম্যান থাকার সময় সুবাস ঘিসিং রোহিণী রোড তৈরি করেন, যা সমতলের গাড়িধুরা হয়ে কার্শিয়াং শহরে ঢোকার মুখে মিলিত রয়েছে। এই রাস্তাটিই এখন দার্জিলিং এবং কার্শিয়াং যাওয়ার মূল রাস্তা। গত কয়েক দশকে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কের অবস্থা খারাপ হয়েছে। এক দশক আগে সড়কের তিনধারিয়া, পাগলাঝোরা এলাকা ধসে যায়। তা সারাই করতে তিন-চার বছর লেগে যায়। রাস্তাটির আরও কয়েকটি জায়গারও পরিস্থিতি খারাপ। আবার পাঙ্খাবাড়ি রোডের উচ্চতা ও বাঁক এতটাই বিপজ্জনক যে, পাহাড়ে গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতা না থাকলে, সে রাস্তায় সমস্যায় পড়তে হয়।

রোহিণী রোড চওড়া হলেও মূল সমস্যা শুরু হয় কার্শিয়াং থেকে দার্জিলিং সদর অবধি। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক বসতি, দোকানপাট এবং টয় ট্রেনের লাইনের জন্য অনেকটাই সরু হয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় জবরদখলের অভিযোগও রয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানান, বেশির ভাগ জায়গায় টয় ট্রেনের লাইন রাস্তার পাশে একটু উঁচুতে রয়েছে। কোথাও কোথাও রাস্তার মধ্যে দিয়ে লাইন এক দিক থেকে আর এক দিকে গিয়েছে। রাস্তা এবং রেললাইনের অংশ মিলিয়ে দিলে প্রায় ৩০ ফুটের রাস্তা পাওয়া যেতে পারে। তাতে দার্জিলিং গাড়ি চলাচল মসৃণ হবে এবং যানজটের সমস্যাও অনেকটা মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে। সাংসদ বলেন, ‘‘দুই মন্ত্রকের অফিসারেরা আলোচনা করছেন। দ্রুত সুরাহা সামনে আসবে বলে আশা করা যায়।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Darjeeling Siliguri toy train

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy