Advertisement
০৫ মে ২০২৪

জঞ্জাল নিয়ে ক্ষোভ চেয়ারম্যানকে

শিলিগুড়ি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সীমানার বাইরে রাস্তার উপরে আবর্জনা জমা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে পুর চেয়ারম্যানের সামনেই সরব হলেন এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বাইরে ময়লা ফেলা হচ্ছে তা উপস্থিত চেয়ারম্যান দিলীপ সিংহের কাছে জানতে চান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্নের মুখে তিনি জানান, দ্রুত তা সরিয়ে ফেলা হবে। বিভিন্ন নাটক, আবৃত্তি, গানের মধ্যে দিয়ে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন বাসিন্দারা।

শিলিগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকায় মশারির ভিতরে বাচ্চাদের নিয়ে অভিনব মিছিল। এলাকায় আবর্জনার স্তুপে ছড়াচ্ছে দূষণ। তাতে বাড়ছে মশা। তারই প্রতিবাদে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই মিছিল এলাকাবাসীর। শুক্রবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

শিলিগুড়ির ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকায় মশারির ভিতরে বাচ্চাদের নিয়ে অভিনব মিছিল। এলাকায় আবর্জনার স্তুপে ছড়াচ্ছে দূষণ। তাতে বাড়ছে মশা। তারই প্রতিবাদে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে এই মিছিল এলাকাবাসীর। শুক্রবার সন্দীপ পালের তোলা ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ জুন ২০১৫ ০২:২৬
Share: Save:

শিলিগুড়ি ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সীমানার বাইরে রাস্তার উপরে আবর্জনা জমা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে পুর চেয়ারম্যানের সামনেই সরব হলেন এলাকার বাসিন্দারা।

শুক্রবার, বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কেন ডাম্পিং গ্রাউন্ডের বাইরে ময়লা ফেলা হচ্ছে তা উপস্থিত চেয়ারম্যান দিলীপ সিংহের কাছে জানতে চান এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের প্রশ্নের মুখে তিনি জানান, দ্রুত তা সরিয়ে ফেলা হবে। বিভিন্ন নাটক, আবৃত্তি, গানের মধ্যে দিয়ে পরিবেশ সচেতনতা গড়ে তোলার চেষ্টা করেন বাসিন্দারা। পরে একটি মিছিল বের করেন তাঁরা। ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশে বসবাসের জন্য তাঁদের যে ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা তুলে ধরেন বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনের মাধ্যমে।

মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এলাকার কাউন্সিলর তথা পুর-চেয়ারম্যান বিষয়টি জানিয়েছে। তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বসে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করার উপরে জোর দেন তিনি। শনিবার সকালে এলাকায় যাবেন বলেও জানান। এ দিন দিলীপবাবুও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেবের সহযোগিতা চান। তিনি বলেন, ‘‘এর আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ করে চারিদিকে দেওয়াল দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের তরফে নির্দিষ্ট কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। পুরসভার পক্ষ থেকেও পরিকল্পনা রয়েছে।’’ যুগ্ম উদ্যোগেই কাজ করার পক্ষে জোর দেন তিনি।

এ দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন লাগোয়া এলাকার তৃণমূলের কাউন্সিলর রবি রায়ও। তিনিও মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান। এলাকার বাসিন্দারা সচেতনতা জাগরণ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন করে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করছেন।

সংগঠনের পক্ষে সমরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ড নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেও কোনও লাভ হচ্ছে না। সমস্ত নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সাতদিন করে থেকে গেলে বুঝবেন কী যন্ত্রণার মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।’’ এর আগে বাম আমলে শিলিগুড়ির কাছে পুঁটিমারিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধায় তা সরানো যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE