Advertisement
E-Paper

চেয়ারম্যানের পরে ক্ষোভ শুনলেন মেয়রও

আগের দিন ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ সিংহ। সে খবর পেয়ে এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় গিয়েছিলেন শহরের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। শনিবার সকালে ঘন্টাখানেক এলাকা ঘুরে দেখেন মেয়র। দ্রুত এলাকার বাইরে ফেলা রাখা ময়লা সরানো ও ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানো নিয়ে সেই মুহূর্তেই স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি চান এলাকার বাসিন্দারা। গত ৪ বছরে রাজ্য সরকারও কোনও সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন। বাইরের ময়লা দ্রুত সরানোর আশ্বাস দিলেও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কোনও চটজলদি সমাধান সম্ভব নয় বলে জানান মেয়র। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ভিতর দিয়ে বাসিন্দারা যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়রও।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৫ ০৩:০৯
ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা মেটাতে বাসিন্দারা আর্জি জানাচ্ছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে।

ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সমস্যা মেটাতে বাসিন্দারা আর্জি জানাচ্ছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে।

আগের দিন ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ সিংহ। সে খবর পেয়ে এদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় গিয়েছিলেন শহরের মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তাঁকেও বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল। শনিবার সকালে ঘন্টাখানেক এলাকা ঘুরে দেখেন মেয়র। দ্রুত এলাকার বাইরে ফেলা রাখা ময়লা সরানো ও ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানো নিয়ে সেই মুহূর্তেই স্থায়ী সমাধানের প্রতিশ্রুতি চান এলাকার বাসিন্দারা। গত ৪ বছরে রাজ্য সরকারও কোনও সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ করেন। বাইরের ময়লা দ্রুত সরানোর আশ্বাস দিলেও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে কোনও চটজলদি সমাধান সম্ভব নয় বলে জানান মেয়র। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ভিতর দিয়ে বাসিন্দারা যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করে নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়রও।

অশোকবাবু বলেন, ‘‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ভিতরে জায়গা রয়েছে। পরিকল্পনা করে ময়লা ফেলতে হবে। চালকেরা বাইরে কেন ময়লা ফেলছে তা জানতে তাদের ডাকানো হয়েছে। তবে ডাম্পিং গ্রাউন্ড সরানো বা স্থায়ী সমাধানের ব্যপারে পুরমন্ত্রী ববি হাকিমকে চিঠি দেব। রাজ্য সরকার সহযোগিতা করলে সমাধান হবে।’’ বাইরে পড়ে থাকা স্তুপীকৃত জঞ্জাল সরানো পুরসভার পক্ষে সম্ভব নয় বলে মেয়র জানান। তাই দ্রুত টেন্ডার ডেকে ঠিকাদার দিয়ে এই জঞ্জাল সরাতে হবে। রাজ্য সরকার যে কোনও কাজ সাহায্যে প্রস্তুত বলে জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি পুরসভার আওতাধীন। তবে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর থেকে সীমানা প্রাচীর তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সাহায্য করা হবে।’’ এদিন মেয়রের সঙ্গে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান পুরসভার চেয়ারম্যান দিলীপ সিংহ, জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ মকুল সেনগুপ্ত ও সহ পুর অফিসাররা।

ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকা পরিদর্শনে মেয়র অশোক ভট্টাচার্য।

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুর্গন্ধে এলাকায় টেকা যায় না। দিনের পর দিন সীমানার বাইরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দারা সচেতনতা জাগরণ মঞ্চ নামে একটি সংগঠন গড়ে আন্দোলন করছেন। এই সংগঠনের সদস্যদের অভিযোগ, ‘‘গত কয়েক বছরে আন্দোলন করায় তাঁদের তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে থানায় নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। এক সদস্য রিমঝিম সরকারের দাবি,‘ গত পুরবোর্ডে জঞ্জাল অপসারণ বিভাগে তৃণমূলের মেয়র পারিষদ দুলাল দত্ত থাকার সময় তাঁদের হেনস্থা হতে হয়েছে।’’ মন্ত্রীর কাছে গেলে তিনিও দুর্ব্যবহার প্রতিশ্রুতি দিয়েও আসেননি। সুজিত বিশ্বাসের দাবি, ‘‘দ্রুত সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই স্কুলগুলো খুলবে। এই পরিস্থিতি বদলাতে তিনদিনের মধ্যে জঞ্জাল না সরালে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।’’ এদিন মেয়র ফিরে যাওয়ার পরে পুরসভার একটি ট্রাক জঞ্জাল ফেলতে গেলে তাকে আটকে দেয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশের সাহায্য নিয়ে জঞ্জাল ফেলা হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হঠাৎ বাসিন্দারা জঞ্জাল ফেলতে দেওয়া হবে না বলে আসরে নামেন।

ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

siliguri ashok bhattacharya mayor agitation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy