তহবিল বড় নয়। নেই মণ্ডপ সজ্জার আতিশয্যও। সকলের সহযোগিতা সম্বল করেই প্রতিবছর পুজো হয় দিনহাটা মহকুমার বাংলাদেশ সীমান্তের গীতালদহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণগঞ্জ বাজার এলাকায়। এমনটাই জানাচ্ছেন ওই পুজোর এক কর্মকর্তা উত্তম রায়।
পুজোর উদ্যোক্তা স্থানীয় কিশোর সঙ্ঘ। রতিনন্দন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে হওয়া ওই পুজো এবার অষ্টম বর্ষে পড়ল। প্রস্তুতি এগিয়েছে অনেকটাই। মণ্ডপের বাঁশও বাধা হয়ে গিয়েছে। উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, আয়োজনে সহযোগিতা করেন সব ধর্মের মানুষজন। সম্প্রীতির আবহে মেতে থাকে এলাকা।
জানা গিয়েছে, দিনহাটার নারায়ণগঞ্জ বাজার এলাকা থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের দূরত্ব মেরেকেটে দুই কিমি। এক দশক আগেও পুজো হত না এই অঞ্চলে। তখন কাছাকাছি বলতে পুজো হত প্রায় চার কিমি দূরের গীতালদহের হরিরহাটে। ফলে সাধারণ বাসিন্দাদের অনেকেই সমস্যায় পড়তেন। ওই সমস্যা মেটাতেই এলাকার বাসিন্দাদের উৎসাহে কিশোর সঙ্ঘের উদ্যোগে পুজো শুরু হয়।
নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা দিনহাটা ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জিল একরাম বলেন, “পুজোয় আমাদের মত স্থানীয় বাসিন্দারা সবাই সামিল হন।’’ পুজোকে ঘিরে এলাকায় উৎসবের আবহকেই বড় প্রাপ্তি বলে জানাচ্ছেন তিনি। নবমীতে এলাকার দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণের কর্মসূচিও রয়েছে বলে জানান জিল একরাম।
উদ্যোক্তারা জানান, সীমান্তের ওই এলাকার বাসিন্দা পরিবারগুলি কৃষি নির্ভর। আর্থিক সমস্যার কারণে পুজোর বাজেট বড় অঙ্কের করা যায় না। পুজোর ভোগ রান্নার জন্য স্থানীয় বাসিন্দারা যে যায় সাধ্যমতো জমানো চাল উদ্যোক্তাদের হাতে তুলে দেন। ওই একই ভাবে জোগাড় করা হয় চাঁদাও। এবারেও সেই ধারা বজায় রেখেই ওই স্কুলের মাঠে কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মন্ডপ হচ্ছে। প্রতিমা আনা হচ্ছে দিনহাটার আটিয়াবাড়ি থেকে। আলোকসজ্জার তেমন ব্যাপার নেই। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ‘‘আতিশয্য না থাকে, পুজোয় প্রাণ আছে, ভালবাসা আছে।’’ বাসিন্দাদের কাছে সেই প্রাণই এই পুজোর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy