Advertisement
E-Paper

‘সুখটানে’ নজরদারির আর্জি সকলের

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কোচবিহার দিনহাটা রোড ধরে কোচবিহার শহরের দিকে একটি সাদা অ্যাম্বাসাডার যাচ্ছিল। সেটার চালক বিড়ি খেতে খেতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:৩১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মোবাইলে কথা বলা তো রোজের ঘটনা। গাড়ি চালাতে চালাতে চলতে থাকে ‘সুখটান’ও। কেউ আপত্তি করলে তা বিশেষ ভাবে কানে তোলেন না কেউ। উপরন্তু দুই-একজন কথা শুনিয়েও দেন, “সারাদিন গাড়ি চালানো। একটু সুখটান না দিলে চলবে?’’ কোচবিহারে চোখ রাখলেই এমন দৃশ্য চোখে পড়বে নিত্যদিন। ফরাক্কায় বাস দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিলের পরেও হুঁশ ফেরেনি কারও।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কোচবিহার দিনহাটা রোড ধরে কোচবিহার শহরের দিকে একটি সাদা অ্যাম্বাসাডার যাচ্ছিল। সেটার চালক বিড়ি খেতে খেতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। গাড়ির ভিতরে বসে ছিল বেশ কয়েকজন ছাত্র। যাদের কারও বয়স ১২ বছরের উপরে নয়। এক মহিলা যাত্রীও ছিলেন ওই গাড়িতে। এই ছবি রোজের, তা জানিয়েছেন নাগরিকরাই।

এই অবস্থার কথা অস্বীকার করেননি পুলিশ-প্রশাসনও। মেনে নিয়েছেন গাড়ি মালিক সংগঠকরাও। এরকম করলে কড়া পদক্ষেপের পক্ষপাতি জেলার শ্রমিক সংগঠনের একটি অংশও।

কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “ট্রাফিক আইন ভেঙে যারা গাড়ি চালাবে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইতিমধ্যে মোটরবাইকের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির দিকেও নজর দিয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। কোচবিহার বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে সঞ্জিত পণ্ডিত জানান, ইতিমধ্যেই চালক ও বাসকর্মীদের মধ্যে লিফলেট বিলি করে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলা ও ধূমপানের বিষয়ে সতর্ক করেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, “এমন বিষয় আমরা মেনে নেব না। কোনও অবস্থাতেই গাড়ি চালাতে চালাতে মোবাইলে কথা বলা যাবে না। নেশা করেও গাড়ি চালানো যাবে না। এরকম কেই করলে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি করেছেন তিনি।”

কোচবিহারে প্রতিদিন কয়েক হাজার গাড়ি যাতায়াত করে। তার মধ্যে বাস ও ছোট গাড়িও র‍য়েছে। গাড়ি চালকদের একাংশ এখনও মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে গাড়ি চালান বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, গাড়ি চালাতে চালাতে কিছু চালক পাশের আসনে বসে থাকা কোনও যাত্রী বা পরিচিত কারও সঙ্গে গল্প জুড়ে দেন বলেও অভিযোগ। অনেকেরই আবার একহাতে থাকে স্টিয়ারিং আর অন্যহাতে বিড়ি বা সিগারেট।

হরিণচওড়ার বাসিন্দা গৌতম দত্ত বলেন, “আমাদের চোখের সামনেই গাড়ি চালাতে চালাতে সাদা অ্যাম্বাসাডারের চালক বিড়ি টানছিলেন। গাড়ির গতিও বেশ ছিল। আমরা ধরতে পারিনি।” চালক, কর্মী সংগঠনের মধ্যে শক্তিশালী রাজ্যের শাসক দলের সংগঠন আইএনটিটিইউসি। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রাণেশ ধর বলেন, “এমন অভিযোগ আমরাও পেয়েছি। এমন অবস্থায় গাড়ি চালালে তাঁর পাশে আমরা থাকব না।’’ সংগঠনের পক্ষ থেকে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Smoking Driving
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy