গ্রিন হাউস নয়, উত্তরবঙ্গের স্বাভাবিক জঙ্গলের পরিবেশে অর্কিডকে কেন্দ্র করে প্রস্তাবিত ‘থিম-পার্ক’ গড়ার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য পর্যটন দফতর।
সোমবার বিকালে শিলিগুড়ির মৈনাক অতিথি নিবাসে পযর্টন মন্ত্রী গৌতম দেবে’র সঙ্গে একটি বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের বৈঠক হয়েছে। প্রতিনিধি দলে তাইল্যান্ডের একটি অর্কিড নার্সারি সংস্থার কর্ণধার, পুণের এক অর্কিড বিশেষজ্ঞও ছিলেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংস্থাটি একটি রিপোর্ট তৈরি করে। সেই সঙ্গে কলকাতায় পর্যটন দফতরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনশন দেবে।
তা দেখার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবিত পার্কটির প্রকল্পের কাজে হাতে দেওয়া হবে। প্রস্তাবিত পার্কে বাণিজ্যিকভাবে অর্কিডের চাষ, অর্কিড বাগান, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, হাতেকলমে ফুলের নানা কারুকর্য শেখা, পর্যটকদের জন্য থাকার কটেজ, জলাশায়, রেঁস্তোরা-সহ ব্যবস্থাই প্রস্তাবিত পার্কে রাখা হবে বলে ঠিক হয়েছে।
মন্ত্রী গৌতমবাবু জানান, অর্কিডের বহু বাগান, গ্রিন হাউস রয়েছে, কিন্তু অর্কিডকে কেন্দ্র করে পর্যটনের থিম পার্ক গড়ার প্রকল্প একেবারেই নতুন। সংস্থাটির তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে এমন পার্ক রয়েছে। এ দিন প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছে। ওঁরা কলকাতায় একটি রিপোর্ট এবং প্রেজেন্টেশেন দেবে। মুখ্যমন্ত্রী এই ধরণের প্রকল্পে খুবই উৎসাহী। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে প্রকল্পটি চূড়ান্ত হবে। যৌথ উদ্যোগে প্রকল্পটি গড়া হতে পারে।
পর্যটন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্স এলাকার বা শিলিগুড়ি লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় যে ধরণের আবহাওয়া থাকে তাতে অর্কিড সহজেই হতে পারে। এ দিন যে সংস্থাটি এসেছিল, তার অন্যতম কর্তা উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তর পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলি ছাড়াও শিলিগুড়ি লাগোয়া বন্ধুনগরে বড় অর্কিড ফার্ম রয়েছে। বিদেশেও তার সংস্থার কাজকর্ম হয়। তাইল্যান্ডের প্রতিনিধি তার সংস্থার সঙ্গে কাজ করেন। তাঁরাও এই পার্ক গড়তে উৎসাহী।
নতুন ধরণের একটি থিমকে কেন্দ্র করে পার্ক তৈরি হলে তা অবশ্যই পর্যটক এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জনপ্রিয় হবে। উৎপলবাবু জানান, ফুল চাষি এবং স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দিয়ে পার্কে কাজ দেওয়া হবে। এলাকার অর্থনৈতিক বিকাশেও পার্কটি কার্যকরী হবে।
গৌতমবাবু বলেন, ‘‘এই প্রকল্পটি হলে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। শিলিগুড়ির আশেপাশে তো বটেই জয়ন্তী, মালবাজার, জলদাপাড়া, কুঞ্জনগরের মত বিভিন্ন এলাকাকে পার্কটি হতে পারে। স্বাভাবিক জঙ্গল মিলিয়ে কম করে ৩০ একর জমির প্রয়োজন। বিনিয়োগ এবং সরকারি বরাদ্দের বিষয়টি দেখা হচ্ছে। বেঙ্গল সাফারি পার্কের পর প্রস্তাবিত পার্ক উত্তরবঙ্গের আরেকটি আকর্ষণ হবে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy