ফাঁকা কলেজ। — নিজস্ব চিত্র
কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচনের গণ্ডগোলের দু’দিনও পরেও আতঙ্কের ছাপ কাটেনি ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেই। কলেজের পরীক্ষার ফর্ম ভর্তির দিন থাকলেও শনিবার ছাত্রছাত্রীদের দেখা যায়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, এখন আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। ইসলামপুরের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌর ঘোষ বলেন, ‘‘কলেজের ছাত্রসংসদের বোর্ড গঠন আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। পরিচালন সমিতি ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ পাইনি। সোমবার আলোচনা করা হবে।’’
কলেজের মধ্যেই কলেজের ছাত্রসংসদের সদস্যদের উপর হামলার প্রতিবাদে চোপড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। হামিদুল রহমানের নেতৃত্বে ওই প্রতিবাদ মিছিল করা হয়।’’
কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক গঠনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর। ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল অগ্রবাল ও চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের অনুগামীদের সঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর অনুগামীদের বিবাদ বাধে। হামলা চলে। ঢিলও ছোড়া হয়। ভেঙে ফেলা হয় কলেজের বেঞ্চ। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসও ছোড়ে। ডানা ছাঁটা হয় প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরীর। কলেজের কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রাক্তন মন্ত্রী করিম চৌধুরীকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে দলের দাবি।
শুক্রবার রাতেও কলেজের এক অশিক্ষক কর্মী স্বপন দাসের বাড়ির বেড়াতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্বপনবাবুর দাবি, ‘‘দুই জনকে চিনতে পেরেছি। তারা প্রাক্তন মন্ত্রীর অনুগামী হিসেবে কলেজে যেত।’’ স্বপনবাবু বলেন, ‘‘আমার ভাগ্নে কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি রাজনীতিও করে। সেই কারণেই সম্ভবত আগুন লাগিয়ে গিয়েছে তারা।’’
বিষয়টি নিয়েই তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইসলামপুর টাউন সভাপতি রাহুল সরকার বলেন, ‘‘করিম চৌধুরীর বদনাম করা চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ ইসলামপুরের এসডিপিও কুন্দরভূষণ সিংহ বলেন, ‘‘তদন্ত হচ্ছে। তবে আগুন লাগানোর কোন অভিযোগ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy