Advertisement
E-Paper

ভর্তি নিয়ে কলেজে সংঘর্ষ ইসলামপুরে

কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়াকে কেন্দ্র করে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল ইসলামপুর কলেজে। এ দিন প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে গিয়েছিল কলেজেরই এক প্রাক্তন ছাত্র আকবর আলম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৬ ০২:২২
থানার সামনে আহতদের রেখে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র.

থানার সামনে আহতদের রেখে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র.

কলেজের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়াকে কেন্দ্র করে টিএমসিপির দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল ইসলামপুর কলেজে। এ দিন প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে গিয়েছিল কলেজেরই এক প্রাক্তন ছাত্র আকবর আলম। তখন কলেজের তৃণমূল পরিচালিত ছাত্র সংসদের কিছু ছাত্র কলেজের ওই প্রাক্তন ছাত্র আকবর আলম ও কলেজের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক রুকশাদ আলম ওরফে টনকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাদের ইসলামপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরেই টিএমসিপিরএক দল সদস্য আক্রান্তদের সমর্থনে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

ইসলামপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডক্টর গৌরচন্দ্র ঘোষ অবশ্য বলেন, ‘‘কলেজের ভর্তির সময় পার হয়েছে অনেক দিনই। তাও কলেজ কর্তৃপক্ষকে ভর্তি না নেওয়ার কারণ লিখিত ভাবে দেওয়ার কথা বলে সে। এর পরই কিছু ছাত্রের ক্ষোভের মুখে পড়ে। কিছু বোঝার আগেই তাদের মধ্যেই হাতাহাতি হয়।’’ ইসলামপুর থানার আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘একটি অভিযোগ জমা পড়েছে। না দেখে কিছু বলা সম্ভব হবে নয়।’’

কলেজ সূত্রে খবর, ২০১২ সালে ইসলামপুর কলেজে ভর্তি হয়েছিল তিনপুলের বাসিন্দা আকবর আলম। ২০১৪ সালে পরীক্ষার সময় তাকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল। এ বছর ফের ভর্তি হতে চান তিনি। ওই ছাত্রের দাবি, ‘‘কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায় প্রাক্তন মন্ত্রী করিম চৌধুরীর ছেলে মেহেতাব চৌধুরীর সুপারিশ ছাড়া ভর্তি করা সম্ভব হবে না।’’ তিনি গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা রাজ্যের পর্যটন প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানির চিঠি নিয়ে গেলে তা ফেরত দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

রুকশাদ আলম বলেন, ‘‘কলেজে যারা মারধর করেছে প্রত্যেককেই চিনি। তাদের মধ্যে এক জনকে বলতে শুনেছি মেহেতাব চৌধুরীর নির্দেশ রয়েছে মারধর করার।’’ তবে পুরো বিষয়টি ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন ইসলামপুরের পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মেহেতাব চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘কলেজে ভর্তি মেধার ভিত্তিতে হয়েছে। রুকশাদ অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কলেজে ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে বলেছিল। গত বছর রুকশাদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর ছাত্রসংসদের নির্বাচন হয়নি। কলেজের ছাত্রেরা নিজেরা এক জনকে সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়ায় তার রাগ রয়েছে।’’

ইসলামপুরের কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘আকবরের শাস্তির মেয়াদ তো পার হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে কোন ভাবেই ভর্তি হতে পারে না।’’

Islampur college
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy