Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

হঠাৎ কেন সিসিটিভি ক্যামেরা স্কুলে?

কেন ক্যামেরা বসাতে হল? অনেকেই বলছেন, স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতেই সিসিটিভি বসানোর কথা। সেই তালিকায় ওই স্কুলটি ছিল না। তা হলে হঠাৎ করে কেন স্কুলে সিসিটিভি বসানো হল?

ইটাহার গার্লস হাই স্কুল।—ফাইল চিত্র।

ইটাহার গার্লস হাই স্কুল।—ফাইল চিত্র।

সৌমিত্র কুণ্ডু
ইটাহার শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:৩৮
Share: Save:

ইটাহার গার্লস হাই স্কুলে মাধ্যমিকের সময় পরীক্ষার্থী পিছু কত জন শিক্ষক নজরদারির দায়িত্বে ছিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মাধ্যমিকের প্রথম কয়েক দিন এই স্কুলে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা ছিল না। ভূগোল পরীক্ষার পরের দিন এই মাধ্যমিক কেন্দ্রে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হয়।

কেন ক্যামেরা বসাতে হল? অনেকেই বলছেন, স্পর্শকাতর কেন্দ্রগুলোতেই সিসিটিভি বসানোর কথা। সেই তালিকায় ওই স্কুলটি ছিল না। তা হলে হঠাৎ করে কেন স্কুলে সিসিটিভি বসানো হল? এবিটিএ-র জেলা সম্পাদক বিপুল মৈত্র বলেন, ‘‘চারিদিকে প্রশ্ন ফাঁসের মধ্যে হঠাৎ করে এই স্কুলে সিসিটিভি বসানোয় সন্দেহ হচ্ছে, স্কুলে কোনও অনিয়ম ঘটেছে। তার তদন্ত হওয়া দরকার।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী আচার্য ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের স্ত্রী। মৌসুমী বলেন, ‘‘প্রশ্নফাঁসের প্রশ্নই ওঠে না। সিসিটিভি বসানো হয়েছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থার জন্য।’’ বিডিও রাজু লামাও বলেন, ‘‘অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রেই ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছিল। যে সংস্থা ওই কাজ করছে, তারা দেরি করে বসিয়েছে।’’

অমলবাবুর বক্তব্য, ‘‘ওই স্কুলে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কোথাও কোনও অভিযোগ হয়েছে বলে জানা নেই। নানা দিকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠছে। যাঁরা দয়িত্বে রয়েছেন, তাঁরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেই ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসিয়ে থাকবেন। সঠিক ভাবে না জেনেই, অনেকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন।’’

তবে প্রশাসন এবং পর্ষদের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিয়ম নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক ইটাহারের বিডিওকে মৌখিক ভাবে সে কথা জানান। ২০ জনের বেশি পরীক্ষার্থী থাকলে পরীক্ষা কক্ষে দু’জন করে নজরদারিতে থাকার কথা। অথচ অভিযোগ, সোমবার পর্যন্ত ৩০ জনকে এক সঙ্গে বসিয়ে মাত্র এক জনকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছিল। সে কথা স্বীকার করেছেন স্কুলের কর্মী শুভেন্দু দাসও। তাতেই অনিয়মের অভিযোগ বেড়েছে। তার মধ্যে মঙ্গলবার কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা স্কুল পরিদর্শকের দফতরের এক আধিকারিক নিজে দাঁড়িয়ে থেকে সময় মতো প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলিয়েছেন। ২০ জন পিছু একজন করে নজরদারিতে রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করেন। কেন্দ্রের পরিস্থিতি দেখতে যান স্কুল পরিদর্শক দেবাশিস সরকার। তিনি বলেন, ‘‘সমস্যা মেটাতে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ মৌসুমীদেবী বলেন, ‘‘নজরদারি নিয়ে সমস্যা যথাযথ ভাবে মেটানো হয়েছে।’’

কিন্তু ওই স্কুলের অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ পৌছয় মধ্য শিক্ষা পর্ষদেও। জেলায় দায়িত্বে থাকা পর্যদের সদস্য সঞ্জয় দাস বলেন, ‘‘প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে কোনও অভিযোগ পাইনি। তবে পর্ষদের কাছ থেকে অভিযোগ আসে, নজরদারিতে নিয়ম ঠিক মতো মানা হচ্ছে না। মঙ্গলবার বিষয়টি ঠিক করা হয়েছে। ৩০ জন পরীক্ষার্থী হলে যেন দুই জন নজরদারিতে থাকে। আমি শুনেছি সিসিটিভি বসানো হয়েছে। তবে কেন বসানো হল, তা বিডিও জানেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Itahar Question Leak CCTV
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE