মেয়রের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিনিধিরা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।
শহর জুড়ে এত দূষণ কেন? শিলিগুড়ি পুরসভার আধিকারিকদের কাছে প্রশ্ন সুইৎজারল্যান্ডের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিদের।
বায়ু দূষণ রোধ করে কী ভাবে নগরায়ণের পরিকল্পনা নেওয়া যায়, তা নিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভাকে পরামর্শ এবং কারিগরি সহায়তা দেবে এই সংস্থার প্রতিনিধিরা। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কোঅপারেশন নামে সংস্থাটি দেশের চার শহরের পুর কর্তৃপক্ষকে এমন সহায়তা দেবে। শুক্রবার সংস্থার প্রতিনিধিরা শিলিগুড়ি পুরসভায় এসে তাঁরা কী করবেন তা নিয়ে একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন। তার আগে মেয়র এবং পুর কমিশনারের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন প্রতিনিধিরা।
বৈঠকের সময়ে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা প্রশ্ন করেন, ‘‘পাহাড়ের পাদদেশে এত সুন্দর শহর। কিন্তু এত দূষণ কেন?’’ তাঁরাই বলেন, ‘‘দূষণ ঠেকানোর যাবতীয় পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। আশা করছি আগামী তিন বছরে এই শহরকে অনেকটাই দূষণ মুক্ত করা যাবে।’’
সংস্থাটি দু’দশক ধরে ভারতে কাজ করছে বলেও দাবি করা হয়েছে। এবারের প্রকল্পে দেশের এমন চারটি শহরকে বেছে নেওয়া হয়েছে, যেগুলি দূষণ-সহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। সেই মাপকাঠিতে শিলিগুড়িও ঢুকে পড়েছে। সংস্থার প্রতিনিধিরা দাবি করেছেন, শুধুমাত্র গাড়ির থেকে বের হওয়া ধোঁয়া-ই নয় জমে থাকা জঞ্জাল, খোলা নিকাশি থেকেও অবিরত দূষণ ছড়ায়। পয়ঃপ্রণালীর পরিকল্পনায় গলদ এবং যত্রতত্র বহুতল তৈরিও বায়ু দূষণের অন্যতম কারণ। শিলিগুড়িকে বাছাই করার আগে একাধিকবার সমীক্ষা করেছে সংস্থাটি। সেই সমীক্ষায় সব রকম ভাবেই বায়ু দূষণ ছড়াচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ দিন সুইস সংস্থাটির প্রতিনিধিদের প্রেজেন্টেশনের সময়ে শহরের কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পুলিশ-প্রশাসনকেও ডেকেছিল পুরসভা। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরাও চেষ্টা করছি। দূষণ নিয়ন্ত্রণের প্রশাসনের সাহায্য চাই।’’ এ দিনের বৈঠকের পরে শহরের মেয়র অশোক ভট্টচার্য বলেন, ‘‘আজ থেকে সুইস সংস্থাটি শিলিগুড়িতে কাজ শুরু করল। বায়ু দূষণ ঠেকাতে নানা পরিকল্পনা করে ওরা আর্থিক বরাদ্দেরও বন্দোবস্ত করবে বলে জানিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy