শিক্ষা সেসের আওতায় এ বছরও আসছে না চা শিল্প। শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় পেশ হওয়া রাজ্য বাজেটে এই ‘সুখবর’ ছাড়া চায়ের জন্য আর তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও ঘোষণা নেই বলেই প্রতিক্রিয়া শিল্প মহলের।
শিক্ষা সেসে কেজি প্রতি চা পাতা পিছু ১২ পয়সা ধার্য রয়েছে। গত বছরেও এই সেস মকুব করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। বাজেটের আগে থেকেই চা শিল্পমহল বিশেষত ক্ষুদ্র চা চাষিরা সেস মকুবের আর্জি জানাতে থাকে। বাজেটে সেই আর্জির প্রতিফলন দেখে স্বভাবতই খুশি শিল্পমহল। তবে চা শিল্পের জন্য নতুন কোনও কথা বাজেটে না থাকায় কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা।
আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত কাঁচা চা পাতায় কেজি প্রতি ১২ পয়সা সেস লাগবে না বলে এ দিন অমিত মিত্র ঘোষণা করেছেন। ক্ষুদ্র চা চাষিদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এই সিদ্ধান্তে ছোট চা বাগানগুলির খুবই উপকার হবে। বাজেটের আগেই একাধিকবার লিখিত ভাবে এই সেস মকুবের আর্জি জানানো হয়েছিল।’’ ক্ষুদ্র চা চাষিদের সংগঠনের তরফ থেকে কৃষি আয়করেও ছাড় দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল। বিজয়বাবুর আশা পরবর্তীতে সেই ছাড় মিলবে।
নোট বাতিলের ঘোষণার পরে চা শিল্পেও ধাক্কা লেগেছে বলে দাবি মালিক সংগঠনগুলির। চা মালিক সংগঠনগুলির কেন্দ্রীয় সংস্থা কনসালটেটিভ কমিটি ফর প্লান্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহা সচিব অরিজিৎ রাহা বলেন, ‘‘খুবই সঠিক সিদ্ধান্ত। স্বাগত জানাতেই হবে।’’
চা শিল্পের জন্য ছাড়-বরাদ্দ নিয়ে রাজনৈতিক দাবি পাল্টা দাবিও রয়েছে। শিলিগুড়ির বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের কটাক্ষ, ‘‘চা শিল্প নিয়ে বিশেষ কিছুই শোনা গেল না। এ বারেও চা শ্রমিকরা বঞ্চিত থাকল। বন্ধ চা বাগান খোলারও দিশা নেই।’’ আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক তথা এসজেডিএ-এর চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী অবশ্য পাল্টা দাবি করেছেন, ‘‘চা শ্রমিকদের জন্য আগেই একশো কোটি টাকার প্যাকেজ হয়েছে। পৃথক ডিরেক্টরেট হয়েছে। এ দিন সেস মকুব হল। বাগানে ২ টাকা কেজি চাল-আটা দেওয়া হচ্ছে। এরপরেও যারা বলছেন নতুন কিছু নেই। তারা রাজনীতিই করছেন।’’