বিলের পুরো টাকা না মেটাতে পারায় এক চা শ্রমিকের দেহ তিন দিন ধরে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
শিলিগুড়ির প্রধাননগর এলাকার একটি নার্সিংহোমে ঘটনাটি ঘটে। শুক্রবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। এরপরেই মৃতের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। দুপুরের পর বকেয়া না নিয়েই দেহটি তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে মৃত চা শ্রমিকের ছেলে জানিয়েছেন।
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিশু দেব (৫৫)। ডুয়ার্সের নাগেশ্বরী চা বাগানে তাঁর বাড়ি। ওই বাগানের কর্মী ছিলেন তিনি। তবে দীর্ঘদিন ধরে কিডনি-সহ নানা অসুখে ভুগছিলেন। তাই কাজ করতে পারছিলেন না। তাঁর স্ত্রী বাগানে কাজ করেন। বাগান এলাকায় মুদির দোকান রয়েছে তাঁর ছেলে চন্দনের।
চন্দনবাবু জানান, ৭ এপ্রিল ওই নার্সিংহোমে বাবাকে ভর্তি করান তিনি। আইসিইউ, ভেন্টিলেশনে থাকার সময় গরু, ছাগল বিক্রি করে এক দফায় ১ লক্ষ টাকার উপর বিলও মেটান। ২৭ এপ্রিল তাঁর বাবার মৃত্যুর পর নার্সিংহোম কতৃর্পক্ষ ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা বকেয়া মেটাতে হবে বলে জানান। টাকা নেই বলায়, দেহটি নার্সিংহোমে রেখে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন বিভিন্ন মহলে বিষয়টি আমরা জানাই। তার পরে দুপুরে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠায়। কেন আমরা নানা জায়গায় বিষয়টি বলেছি, তা নিয়ে ধমক দেয়। পরে আলোচনা করে দেহটি এমনিই ছেড়ে দিয়েছে। সব মিটে গিয়েছে, তাই আর লিখিত অভিযোগ করিনি।’’ এদিনই বিকালেই দেহটি গাড়িতে করে নাগেশ্বরী চা বাগানে নিয়ে গিয়েছেন পরিবারে লোকজন।
যদিও নার্সিংহোম কতৃর্পক্ষ সমস্ত অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন। সংস্থার সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) সারাংশ সিংহের দাবি, ‘‘মারা যাওয়ার পরে টাকা নেই বলে ওঁরা চলে যান। আমরাই টেলিফোন করে দেহ নেওয়ার জন্য বারবার বলেছি। ওঁরা তা না করে উল্টে আমাদের নামে নানা অভিযোগ করতে থাকেন। এ দিন টেলিফোন করার পর এসেছিলেন। সব মিটে গিয়েছে। মানবিকতার খাতিরে বিলও নেওয়া হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy