বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাথে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার পথে মিছিলে বিজেপির মাদারিহাট উপ নির্বাচনের প্রার্থী রাহুল লোহার। আলিপুরদুয়ার শহরে তোলা ছবি। (২৩/১০/২০২৪) – নারায়ন দে।
দলের রাজ্য সভাপতির কথাতেও কার্যত ‘গলল না’ বরফ। আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাটের বিজেপি প্রার্থীর জন্য প্রচারে নামার অনুরোধ ‘ফেরালেন’ জন বার্লা। বুধবার সকালে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বার্লার লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের বাড়িতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় সূত্রে খবর, বার্লা জানিয়ে দেন, মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য তিনি প্রচারে নামবেন না। তবে বার্লার বাড়ি থেকে বেরিয়ে সুকান্ত জানান, এ দিন তিনি শুধু বার্লার অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে এসেছিলেন। তাঁদের দু’জনের মধ্যে মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচন নিয়ে কোনও আলোচনাই সে ভাবে হয়নি। সুকান্ত বলেন, ‘‘ওঁর অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে এসেছি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর চিকিৎসা চলছে। যদি ওঁর স্ত্রীর শরীর ঠিক থাকে, অবশ্যই প্রচারে নামবেন।’’
কিছু দিন আগেই বার্লার বোন মেরিনা কুজুর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তার পরেই বার্লার বাড়িতে রাজ্য বিজেপি সভাপতির সফর নিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে। পরে সাংবাদিকদের বার্লা বলেন, ‘‘ঠিক ভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়নি। প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে আমার সঙ্গেও কোনও আলোচনা করা হয়নি।’’ নাম না-করে সাংসদ মনোজ টিগ্গাকেও কটাক্ষ করেন বার্লা। তিনি বলেন, ‘‘ওয়ান ম্যান আর্মি নিজেই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ পাশাপাশি বার্লা আরও বলেন, ‘‘এই এলাকায় বসবাসকারী সমস্ত জনজাতির মানুষই আমার ভাই। কোনও এক জনের জন্য প্রচারে নেমে অন্য জনকে কষ্ট দিতে পারব না।’’
এ প্রসঙ্গে মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘একক ভাবে প্রার্থী ঠিক করা যায় না। ১৭ জনের আবেদন জমা পড়েছিল। সেটা জেলা থেকে, রাজ্য হয়ে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নাম গিয়েছে। এ ব্যাপারে তাঁরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ বার্লা ভোট-প্রচারে না থাকলে প্রভাব পড়বে কি না, জানতে চাওয়ায় তিনি বলেন, ‘‘আলিপুরদুয়ার লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে।’’ অদূর ভবিষ্যতে তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে বার্লা বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে নিজেদেরই কিছু লোক এ সমস্ত ভুল তথ্য ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আসলে দলের ক্ষতি করতে চায়। আমি এই সংক্রান্ত রিপোর্ট যথাযথ জায়গায় পাঠিয়ে দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy