Advertisement
E-Paper

কিশোরীকে ধর্ষণ, নালিশ

রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের দাবি, অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০৩:৫৬
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

মোটরবাইকে চাপিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নাম করে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার দুপুরে ওই কিশোরীর বাবা ওই কিশোরীকে নিয়ে রায়গঞ্জ থানায় গিয়ে তাজিরুল ইসলাম নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্তের বাড়ি করণদিঘি থানার গোপালপুর এলাকায়। তিনি কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেন বলে ওই কিশোরীর পরিবারের দাবি। কিশোরীর বাড়ি রায়গঞ্জ থানার সরিয়াবাদ মোহনা এলাকায়। এ দিন বিকেলে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ।

রায়গঞ্জ থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাসের দাবি, অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছে। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরীর বাবা পেশায় চাষি। মা গৃহবধূ। তাঁদের তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে ওই কিশোরী সবচেয়ে বড়। অভিযুক্ত তাজিরুল সম্পর্কে ওই কিশোরীর খুড়তুতো দিদির দেওর বলে জানান গিয়েছে। ফলে তাদের মধ্যে আগে থেকেই পরিচয় ছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই কিশোরীর মামার অভিযোগ, তাঁর ভাগনির এক প্রতিবেশীর মাধ্যমিকে আলতাপুর হাইস্কুলে আসন পড়েছে। গত শনিবার সকালে ওই কিশোরী পরীক্ষার্থীকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যায়। তাকে পরীক্ষা দিতে ঢুকিয়ে ওই কিশোরী বাড়ি ফেরার জন্য আলতাপুর বাসস্ট্যাণ্ডে নাগরগামী বাসের অপেক্ষা করছিল। সেইসময় তাজিরুল সেখানে পৌঁছে ওই কিশোরীকে বাইকে চাপিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ওই কিশোরী ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। সে বাসে চেপে নাগর বাসস্ট্যাণ্ডে এসে নামে। তারপরে ফের সেখানে পৌঁছয় তাজিরুল। তখন ওই কিশোরী সরিয়াবাদ মোহনা যাওয়ার জন্য অটোর অপেক্ষা করছিল। তাকে বাইকে চাপানোর জন্য ফের চাপাচাপি শুরু করে তাজিরুল। কিশোরীর পরিবারের দাবি, ঝামেলা হলে লোকজন খারাপ ভাববে এরকম ভেবে তাজিরুলের কথায় রাজি হয়ে যায় ওই কিশোরী।

কিশোরীর মামা বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ধরে তাজিরুল আমার ভাগ্নিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করছিল। কিন্তু ভাগ্নি তাতে রাজি না হওয়ায় তাজিরুলের আগে থেকেই আক্রোশ ছিল।’’ ওইদিন বাইকে উঠতেই অভিযুক্ত যুবক দ্রুতগতিতে বাইক চালিয়ে তাঁর ভাগ্নিকে মকদমপুরের একটি নির্জন এলাকার ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে তাঁর অভিযোগ। ঘটনার পরে কোনওমতে বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকেদের ঘটনার কথা জানায় ওই কিশোরী।

ওই কিশোরীর বাবার দাবি, ‘‘মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে দু’দিন ধরে তাজিরুলকে আমার মেয়েকে বিয়ে করার অনুরোধ করছিলাম। কিন্তু সে কিছুতেই রাজি না হওয়ায় এ দিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলাম।’’ অভিযুক্তের অবশ্য দাবি, ‘‘আমাদের পরিবারের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিবারের দীর্ঘ দিনের বিবাদ। তারজেরেই আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’’

Raiganj rape Teenage girl
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy