হামলাস্থল। —নিজস্ব চিত্র।
জিরো টলারেন্সে ঘটনাটি দেখা হবে, নিরীহ মানুষকে হত্যা করা এবং জঙ্গিপনাকে কোন মতে আর মেনে নেওয়া হবেনা। তাঁদের কঠোর ভাবে দমন করা হবে। রবিবার কোকরাঝাড়ের বালাজান-তিনআলি সপ্তাহিক বাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে নাম নাকরে এনডিএফবি (এস)গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ঠিক এমনই মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। অভিশপ্ত শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ কোকরাঝাড় জেলার বালাজান-তিনআলি সপ্তাহিক বাজারে ঢুকে এনডিএফবি (সংবিজিত)গোষ্ঠীর জঙ্গিরা গুলি করে মেরে ফেলে এক মহিলা সহ মোট ১৪ জন লোককে। ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও ১৮ জন। জঙ্গিদের এই বর্বরতার ঘটনার খোঁজ খবর নিতে এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে রবিবার গুয়াহাটি থেকে সকাল সওয়া ১১টা নাগাদ সেনার হেলিকপ্টার করে কোকরাঝাড়ের সাই স্টেডিয়ামের মাঠে এসে নামেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী রিহন দৈমারি,মন্ত্রী অতুল বরা, মন্ত্রী পল্লবলোচন দাস। এছাড়াও এদিন অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দিয়েছিলেন বনমন্ত্রী প্রমীলা রানি ব্রহ্ম এবং বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারি এবং অসম পুলিশের ডিজি মুকেশ সহায় আইজি এল আর বিষ্ণুই। স্টেডিয়াম থেকে গাড়ি করে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং নিহতদের পরিবারের লোকজনদের সঙ্গে দেখা করেন। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল জানান, “সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে আর কোনও আলোচনা করা হবে না। তাঁদের কঠোর ভাবে দমন করা হবে। কোকরাঝাড় তো বটেই গোটা বড়োভুমিতেই জঙ্গি বিরোধী অভিযান আরও কঠোর করা হবে। পাশাপাশি বড়োভুমিতে বসবাস করা লোকেদের নিরাপত্তার জন্য রাজ্য সরকার সব রকমের ব্যবস্থা করবে।” এরপর কোকরাঝাড় সার্কিট হাউসে অসম পুলিশ তথা জেলা পুলিশ প্রশাসন, সেনা, সিএরপিএফ এবং বিটিএডির কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে সভা করেন। প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা কোকরাঝাড়ে থাকার পর বেলা আড়াইটে নাগাদ গুয়াহাটি উদ্দেশ্য উড়ে যান মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বালাজান-তিনআলি সপ্তাহিক বাজারের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসার আগে, জঙ্গি হানার প্রতিবাদ এবং জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ লোকেরা। তাঁদের অভিযোগ, ঘটনার খবর দেওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৪০ মিনিট দেরি করে আসে জেলা পুলিশ তথা নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীরা। ফলে প্রায় আধ ঘন্টা ধরে দাপিয়ে বেড়ায় জঙ্গিরা। বরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এরিয়া ডিস্ট্রিক (বিটিএডি)-র দায়িত্বে থাকা অসম পুলিশের আইজি এল আর বিষ্ণুই জানান, “এটা ঠিক কথা নয়,খবর মেলার ৭-১০ মিনিটের মধ্যেই নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীরা পৌঁছে গিয়েছিলো ওই এলাকায়। কোকরাঝাড় জেলায় নিরাপত্তা আরও প্রখর করা হয়েছে। জেলার স্পর্শকাতর এলাকা গুলিতে নিরাপত্তা বাহিনীর পিকেট বসানও হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy