বাসিন্দারা দাবি করেছেন, নোট বাতিলের কিছু দিন পর থেকে সেই আইনুদ্দিনের ঠাঁটবাট কমতে থাকে। বাইক নিয়ে দাপাদাপিও কমে যায়। মাসখানেক পর দেখা যায়, সে আর এলাকায় নেই। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করলে বলে, বাইরে গিয়েছে।
সম্প্রতি আবার গ্রামে ফিরেছে আইনুদ্দিন। তার পর থেকেই গ্রামবাসীদের মধ্যে ঘুরছে প্রশ্ন— জাল নোটের কারবার ফের মাথাচাড়া দিতেই কি আইনুদ্দিন ঘরে ফিরল? সীমান্তের গ্রামগুলিতে কান পাতলে এমন অনেক আইনুদ্দিনেরই সন্ধান মেলে, তা সে ষষাণি হোক বা খড়িবোনা। এই অবস্থায় সকলের মনে স্বাভাবিক প্রশ্ন, কালিয়াচক কি ফিরছে কালিয়াচকেই?
জাল চিনতে
• নোটের কাগজের মান খারাপ।
• ফ্লুরোসেন্ট জলছাপ নেই।
• সিকিউরিটি থ্রেড থাকে না।
•দৃষ্টিহীনদের জন্য টাচমার্ক নেই।
•নোটের রং উজ্জ্বল নয়।
পরিস্থিতি আরও ঘোরাল হয়েছে পরপর জাল নোট-সহ লোকজন পাকড়াও হওয়ায়। কয়েক দিন আগে তো চরিঅনন্তপুরে সীমান্তের ও পার থেকে ১০০টি দু’হাজারি নোট ছুড়ে দেওয়া হয় এ পারে। সেটা উদ্ধার করে বিএসএফ। তারা পরে জানিয়েছে, নতুন জাল দুহাজারি নোটে সিকিউরিটি থ্রেড খুব একটা খারাপ নয়। ফলে সাধারণ লোক চট করে ধোঁকা খেয়ে যেতে পারে।
এনআইএ সূত্রে খবর, কালিয়াচক ৩ ব্লকের ওপারেই বাংলাদেশের চাপাই নবাবগঞ্জ জেলায় পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই অন্তত দু’টি অফসেট বসিয়ে জাল ভারতীয় নোট ছাপার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে। সেই নোটই পাচার হয়ে এপারে আসছে। এনআইয়ের এক আধিকারিক জানান, আর এই পাচারে কাজে লাগানো হচ্ছে পুরনো পাণ্ডাদেরই। কারণ, তারা আটঘাট জানে।
বিএসএফের মালদহের গোয়েন্দা বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, নতুন করে জাল নোটের কারবার শুরু হওয়ার পরে সীমান্ত এলাকায় বহিরাগতদের ব্যাপারে নজরদারি শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের বলা হয়েছে, কেউ এসে কয়েক দিন থাকলেই প্রশাসনকে জানান। সঙ্গে চলছে টহলদারিও। বিএসএফের মালদহের ডিআইজি অমরকুমার এক্কা থেকে মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ, সকলেই তদন্তে গতি বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন।