Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
আজ সাধারণ গ্রন্থাগার দিবস

উদ্বোধনের পরে তিন বছর, চালু হয়নি গ্রন্থাগার

উদ্বোধনের পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। কিন্তু এখনও আগ্রহী সাধারণ পাঠকদের সদস্যপদ মিলছে না কোচবিহার জেলার একমাত্র ক্রীড়া গ্রন্থাগারে। ফলে তাঁরা বই নিয়ে পড়ার সুযোগও পাচ্ছেন না। কোচবিহার জেলার ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ওই গ্রন্থাগারটি চালু হয়।

কোচবিহারে এই ক্রীড়া গ্রন্থাগার নিয়েই রয়েছে অভিযোগ।  ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

কোচবিহারে এই ক্রীড়া গ্রন্থাগার নিয়েই রয়েছে অভিযোগ। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব

অরিন্দম সাহা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৬ ০১:৪৯
Share: Save:

উদ্বোধনের পর কেটে গিয়েছে তিন বছর। কিন্তু এখনও আগ্রহী সাধারণ পাঠকদের সদস্যপদ মিলছে না কোচবিহার জেলার একমাত্র ক্রীড়া গ্রন্থাগারে। ফলে তাঁরা বই নিয়ে পড়ার সুযোগও পাচ্ছেন না। কোচবিহার জেলার ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে ওই গ্রন্থাগারটি চালু হয়।

এ নিয়ে বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষুব্ধ। আজ, ৩১ অগস্ট সাধারণ গ্রন্থাগার দিবসের মুখে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমী মহল। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন কোচবিহার জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্তারা। এখন শুধুমাত্র সংস্থার সদস্যরা ওই গ্রন্থাগারে বসে পচ্ছন্দের খেলাধূলোর বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন।

সংস্থার সম্পাদক বিষ্ণুব্রত বর্মনের দাবি, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই জেলার একমাত্র ওই ক্রীড়া গ্রন্থাগারের দরজা আগ্রহী সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা তৈরি করে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’ তিনি জানিয়েছেন, রামমোহন লোহিয়া গ্রন্থাগার ফাউন্ডেশন ও রাজ্য গ্রন্থাগার দফতরের নিয়ম অনুযায়ী তিনটি আর্থিক বছর না পেরোলে সরকারি সাহায্য বা অনুদান পাওয়া যায় না। ফলে সমস্যা হচ্ছিল। ইতিমধ্যে সেই সময়সীমাটা পেরিয়ে যাওয়ায় সমস্ত তথ্য জানিয়ে পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।

কোচবিহারের মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ খেলাধূলোর জগতেও পরিচিত নাম। সেই হিসাবে জেলার একমাত্র ক্রীড়া গ্রন্থাগারের নামকরণ হয় মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণ ভূপবাহাদুর স্মৃতি গ্রন্থাগার। ২০১৩ সালে চালু হওয়া গ্রন্থাগারটির আলমারিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে প্রচুর বই। কিন্তু এতদিনেও সেটির পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হয়নি। গ্রন্থাগারের জানালার কাঁচের কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে। বৃষ্টি হলে ভেতরে জলের ঝাপটা ঢুকছে। কিন্তু ওই সমস্যা মেটানোর জন্য কোনও কাজই হচ্ছে না।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার এক সদস্য নিখিল রঞ্জন দে বলেন, “গ্রন্থাগার চালু হওয়ায় তা কাজে আসবে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু যে কোনও কারণেই হোক সেটা এতদিনেও হয়নি।’’ ৩১ অগস্ট সাধারণ গ্রন্থাগার দিবসে গ্রন্থাগারটি আগ্রহী সবার জন্য খুলে দেওয়া হলে তা ক্রীড়া, পুস্তকপ্রেমী সবার কাছে আনন্দের হত বলে জানিয়েছেন।

১৫ ডিসেম্বর কোচবিহারের মহারাজা জগদ্দীপেন্দ্র নারায়ণের জন্মদিন। তাই ওই মাসেই সাধারণ বাসিন্দাদের জন্য গ্রন্থাগারটি চালু করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রন্থাগারের বই লেনদেন সংক্রান্ত কাজের তদারকিতে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে অনেকেই আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

inauguration library
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE