Advertisement
E-Paper

বাইকে আচমকা ও পারে তিনজন

সরকারি নিয়ম মেনে খোলা ছিল ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত গেট। বাংলাদেশে ঢুকছিল একের পর এক পাথর বোঝাই ট্রাক। হঠাৎ মোটরবাইক নিয়ে পাথরের ট্রাকের পাশ কাটিয়ে সীমান্ত গেট দিয়ে ওপারে ঢুকে পড়েন তিন যুবক। জিরো পয়েন্ট পার হয়েই বাইকটি এগিয়ে যেতে দেখেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:১১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সরকারি নিয়ম মেনে খোলা ছিল ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত গেট। বাংলাদেশে ঢুকছিল একের পর এক পাথর বোঝাই ট্রাক। হঠাৎ মোটরবাইক নিয়ে পাথরের ট্রাকের পাশ কাটিয়ে সীমান্ত গেট দিয়ে ওপারে ঢুকে পড়েন তিন যুবক। জিরো পয়েন্ট পার হয়েই বাইকটি এগিয়ে যেতে দেখেই চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানেরা। তা দেখে ওপারের বর্ডার গার্ডস অব বাংলাদেশের (বিজিবি) রক্ষীরা তাড়া করেন বাইক আরোহী যুবকদের। শেষে বাংলাবান্ধা থেকে এগিয়ে তেঁতুলিয়া থানা এলাকায় ধরা হয় তিন ভারতীয় যুবককে।

রাতে বিজিবি-র তরফে ভারতীয় যুবকদের তুলে দেওয়া হয়েছে বিএসএফের হাতে। মঙ্গলবার দুপুরে শিলিগুড়ি লাগোয়া এনজেপি থানার ফুলবাড়ি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট এলাকার ঘটনা। কী উদ্দেশ্যে তাঁরা ওপারে ঢুকে পড়েছিলেন তা পুলিশ এবং বিএসএফ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ এবং বিএসএফ সূত্রের খবর, তিন যুবকের নাম আমিরুল ইসলাম, মুর্তাজা আলম এবং মহম্মদ জালালুদ্দিন। এর মধ্যে প্রথম দু’জনের বাড়ি ফাঁসিদেওয়ায়, শেষের জনের বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায়। তিনজনই দিল্লিতে বিভিন্ন দোকানে কাজ করেন। সম্প্রতি বাড়ি ফিরে এসেছেন। এ দিন তাঁদের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের আমবাড়ি এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। স্থানীয় এক যুবকের বাইক নিয়ে তাঁরা হদুগছে আসছিলেন। কিন্তু মাঝপথে কীভাবে সীমান্তের গেট পেরিয়ে ওপারে চলে গেলেন তা খতিয়ে দেখছে বিএসএফ। অভিযুক্তেরা এর আগেও একবার ওপারে গিয়েছিলেন বলে বিএসএফ খবর পেয়েছে। সেই তথ্যও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিএসএফের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখছি।’’

এই ঘটনায় ফুলবাড়ি সীমান্তে বিএসএফের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানান, সীমান্ত গেট খোলা থাকলে জওয়ানদের আরও সর্তক থাকা উচিত ছিল। এমন হলে তো নাশকতার ঘটনাও ঘটতে পারে। ফুলবাড়ির বাসিন্দা তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের তৃণমূলের সদস্য দেবাশিস প্রামাণিক বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় তিনজন ঘুরছিল বলে শুনেছি। ইমিগ্রেশন অফিসের আগে যেতে বারণও করা হয়েছিল। তারপরেই ট্রাকের পিছনে পিছনে ঢুকে পড়ে। রাতে বিএসএফ ওদের বাংলাদেশ থেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।’’

তিন যুবকের আত্মীয় ওসমান গনি বলেন, ‘‘আমিরুল আমার আত্মীয়। দিল্লিতে থেকে এসেছে। আমাদের বাড়িতে আসার কথা ছিল। পরে খবর পাই, সীমান্ত এলাকায় ধরা পড়েছে। ওরা রাস্তাঘাট, সীমান্ত বুঝতে পারেনি। জওয়ানদের তাড়া খেয়ে ভয়ে আরও বাংলাদেশের ভিতরে চলে গিয়েছিল বলে মনে হচ্ছে।’’ ফাঁসিদেওয়ার মহকুমা পরিষদের সদস্য আইনুল হক বলেন, ‘‘আমরা খোঁজখবর করছি।’’

Border Bangladesh BSF
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy