সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও দলের অন্তর্দ্বন্দ্বে বৃহস্পতিবার বাজেট পাশ করানো যায়নি মালদহ জেলা পরিষদে। ১২ তারিখ, বুধবার ফের সভা ডাকা হয়েছে। এই সভা ঘিরেই তৃণমূলের অন্দরে পারদ চড়ছে। কারণ ওই দিনই জেলায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করতে আসছেন মালদহের দলীয় পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। ফলে তাঁর কাছে মুখরক্ষায় এ দিন বাজেট পাশ করানো এক রকম চ্যালেঞ্জ জেলা নেতৃত্বের কাছে।
শুভেন্দুবাবুর হাত ধরেই জেলা পরিষদ দখলে এসেছিল তৃণমূলের। বুধবার ফের বাজেট সভা। তার দু’দিন আগে থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের গোপন ডেরায় রেখে দেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বাজেট সভায় যোগ না দেওয়া সাত জনের মধ্যে আপাতত চার জনকে টার্গেট করে তাঁদের বোঝানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদে তৃণমূল বোর্ডকে সমর্থনকারী সমাজবাদী পার্টির সদস্য তথা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মিলন দাসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার রাতেই জেলা পরিষদের অতিথি নিবাসে গোপন বৈঠক করেন দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। শুক্রবার সভাধিপতির চেম্বারেও মিলনবাবুর সঙ্গে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহকারী সভাধিপতি সহ একাধিক কর্মাধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক হয়। এ দিনের বৈঠকে তৃণমূলের আর এক সদস্য খুশি বিশ্বাসও ছিলেন।
দলেরই একটি মহল জানিয়েছে, মিলনবাবুর সঙ্গে তাঁর দলেরই এক সদস্যা কাঞ্চন সিংহ রয়েছেন ও খুশিবাবুর সঙ্গে বামনগোলা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। ফলে এই দু’জনের সঙ্গে আলোচনা করে ১২ তারিখের সভায় চার জনের হাজিরা নিশ্চিত করানোর চেষ্টা জারি রয়েছে। সভায় না আসা বাকি সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।
মিলনবাবু বলেন, ‘‘আমার দাবি ছিল উপাধ্যক্ষ পদ আমাদের দিতে হবে। তাঁরা রাজি হয়েছে।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন অবশ্য বলেন, ‘‘উপাধ্যক্ষ পদে একাধিক দাবিদার রয়েছেন। মিলনবাবুর সঙ্গে কথা হয়েছে। দল সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে। যাঁরা সে দিন আসেননি তাঁরা সকলেই জেলার উন্নয়নের স্বার্থে যাতে বাজেট সভায় আসেন সেই চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy