Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪

অ্যাসিডে মুখ পুড়িয়ে খুন তৃণমূল নেতা

তৃণমূলের অঞ্চল সম্পাদককে খুন করে মুখ থেঁতলে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শনিবার সকাল থেকে বালুরঘাটের ভাটপাড়া অঞ্চলের মাঝিগ্রাম সীমান্তের এক খেত থেকে দেহটি উদ্ধার হয়।

খেতে পড়ে প্রতুলের দেহ। ছবি:নিজস্ব চিত্র

খেতে পড়ে প্রতুলের দেহ। ছবি:নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩০
Share: Save:

তৃণমূলের অঞ্চল সম্পাদককে খুন করে মুখ থেঁতলে অ্যাসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। শনিবার সকাল থেকে বালুরঘাটের ভাটপাড়া অঞ্চলের মাঝিগ্রাম সীমান্তের এক খেত থেকে দেহটি উদ্ধার হয়।

অমৃতখণ্ড তৃণমূল অঞ্চল সম্পাদক প্রতুল বর্মন (৪৬) শুক্রবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে অমৃতখণ্ডের মালঞ্চা এলাকায়। এ দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ দেহ শনাক্ত হয়। দেহ তুলে আনার পর বিকেল ৩টে নাগাদ থানায় যান নিহত প্রতুলবাবুর স্ত্রী বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা শিপ্রাদেবী। গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে স্বামী প্রতুলবাবুকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে বলে শিপ্রাদেবী অভিযোগ করেন। কিন্তু সারারাত ধরে প্রতুলবাবু বেপাত্তা থাকলেও কেন শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকালের পরেও পুলিশের কাছে শিপ্রাদেবী স্বামীর নিখোঁজের ডায়েরি করলেন না সেই প্রশ্ন পুলিশকে ভাবাচ্ছে।

ডিএসপি (সদর) সৌম্যজিৎ বড়ুয়া বলেন, ‘‘পরিকল্পিত ভাবে অন্য কোথাও খুন করে দেহটি বস্তায় ভরে মাঝিগ্রাম এলাকার মাঠে ফেলা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে খুনের ধরন দেখে মনে হচ্ছে মহিলা সংক্রান্ত কোনও ঘটনা এর পিছনে রয়েছে। মুখের করোটি ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই। পুরুষাঙ্গ রক্তাক্ত ছিল। তাঁর মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি।’’ তিনি জানান, শিপ্রাদেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খুনিদের ধরতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

শিপ্রাদেবী জানান, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে দুস্থদের বিলির জন্য শীতবস্ত্র নিয়ে তাঁর স্বামী বাড়িতে আসেন। বিকেল ৪টে নাগাদ তাঁর মোবাইলে ফোন আসে। তিনি তখনই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তার পর রাতে প্রতুলবাবু ফেরেননি। তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘‘ফোন করেছিলাম। কিন্তু তা বাজেনি।’’ বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি প্রবীর রায় বলেন, ‘‘প্রতুল দলের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। খুনের কারণ উদ্ধার করে খুনিদের দ্রুত গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়েছে।’’

দলীয় সূত্রের খবর, তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রর অনুগামী প্রবীরবাবুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন প্রতুলবাবু ও শিপ্রাদেবী। প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর অনুগামী অমৃতখণ্ডর পঞ্চায়েত প্রধান জয়ন্তী সরকার এবং তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি স্বপন সরকারদের সঙ্গে তাঁদের কিছুটা দূরত্ব ছিল। এই বিরোধী শিবিরের তৃণমূল নেতা স্বপনবাবু বলেন, ‘‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। প্রতুলের খুনের পিছনে ব্যক্তিগত বিষয় রয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

acid
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE