E-Paper

নদী কমিশন নিয়ে সরব হবেন প্রকাশ

ভুটানের নদীর জল নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে সোমবারই রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল-সহ কয়েক জনের আনা প্রস্তাবের উপরে আলোচনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২৪ ০৯:০১
Prakash Chik Baraik

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক। —ফাইল চিত্র

ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশনের দাবিতে রাজ্যসভায় সরব হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য প্রকাশ চিক বরাইক। দিল্লি থেকে মঙ্গলবার প্রকাশ জানান, যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি নিয়ে তিনি সংসদে সরব হবেন তিনি।

ভুটানের নদীর জল নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে সোমবারই রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল-সহ কয়েক জনের আনা প্রস্তাবের উপরে আলোচনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভা। আলোচনার শুরুতে সুমনকে বিজেপি-র বক্তা তালিকায় দেখে আপত্তি তোলেন গেরুয়া শিবিরের বিধায়কেরা। ভুটান থেকে নেমে আসা নদীগুলির জন্য ডুয়ার্স-সহ উত্তরবঙ্গের একটা বড় অংশে কী ভাবে চা বাগান ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেই বিষয়টি বিধানসভায় তুলে ধরেন সুমন। ভুটানের বৃষ্টি মাপার ব্যবস্থা বাড়ানো-সহ বেশ কিছু প্রস্তাবের পাশাপাশি ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন তৈরির প্রস্তাবও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, দিল্লিতে সদ্যসমাপ্ত নীতি আয়োগের বৈঠকে তিনি এই দাবি জানিয়ে এসেছেন।

সূত্রের খবর, ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশনের বিষয়টি নিয়ে ওই রাতে সুমনের সঙ্গে প্রকাশের ফোনে কথাও হয়। দিল্লি থেকে এ দিন প্রকাশ বলেন, “ভুটান থেকে নেমে আসা নদীগুলো থেকে প্রতি বছরই আলিপুরদুয়ার জেলা সহ-উত্তরবঙ্গের নানা অংশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ফলে, ভুটান থেকে আসা ওই নদীগুলোর নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি। সে জন্যই ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন প্রয়োজন। অথচ, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা থেকে পর-পর দুবার লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর বিজেপি সাংসদেরা বিষয়টি নিয়ে চুপ করে বসে রয়েছেন। আমি যত দ্রুত সম্ভব বিষয়টি নিয়ে রাজ্যসভায় সরব হব। আলিপুরদুয়ারের রাস্তাতেও দল এ নিয়ে আন্দোলনে নামবে।” এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ির বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “ভুটানের নদী সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবার জন্য আমাদের সাংসদেরা রয়েছেন। সুমন কাঞ্জিলাল এখন কোন দলে রয়েছেন, তা নিয়ে তৃণমূল নেতারা ভাবুন।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

India Bhutan TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy