প্রতীকী চিত্র
মোবাইল টাওয়ার বসানোর কথা বলে প্রতারণার ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল একটি চক্র। অভিযোগ, লোকেদের সঙ্গে কথা বলতে খোলা হয়েছিল কল-সেন্টারও। প্রতারিত কয়েক জনের কাছে অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে জলপাইগুড়ি সাইবার থানা। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ওই চক্রের দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে মোবাইল ফোনের প্রচুর সিমকার্ড, কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক, পেনড্রাইব-সহ বিভিন্ন সামগ্রী। ধৃতদের রবিবার আদালতে পেশ করে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ নভেম্বর জলপাইগুড়ি পাণ্ডাপাড়া এলাকায় এক বাসিন্দা এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ তদন্তে নামে। মোবাইল ফোনের নম্বরের সূত্র ধরে উত্তর ২৪ পরগনায় হাবড়া এলাকায় পৌঁছন তদন্তকারীরা। তাঁরা জানান, অভিযুক্তদের ডেরায় পৌঁছে অবাক হন সকলে। দেখা যায়, সেখানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার একাধিক ব্যক্তির নাম, ফোন নম্বরের তালিকা রয়েছে। সঙ্গে ব্যাঙ্ক ও জমির প্রচুর নথি। বাক্সে ভরে থাকা মোবাইলের অনেক সিমকার্ডও। কোনও কোনও সিম-এ লেখা ‘জয়ী’
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, যে সিম ব্যবহার করে কাজ হাসিল হয়েছে, সে সব সিমকার্ডে ‘জয়ী’ লেখা রয়েছে। পুলিশের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের অন্য রাজ্যেও ওই চক্রের প্রতারণা জাল ছড়ানো ছিল৷ মোবাইলের টাওয়ার বসানোর নাম করে টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখাত অভিযুক্তেরা। বলা হত, জমির ভাড়া, জমিদাতা পরিবারের এক জনের চাকরি এবং টাওয়ারের পরিষেবা চালু হলেই ১ লক্ষ কুড়ি হাজার দেওয়া হবে। কিন্তু টাওয়ার তৈরির আগে রেজিস্ট্রেশন, ইনসিওরেন্স-এর অজুহাতে ধাপে ধাপে টাকা নেওয়া হত।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুব্রত চক্রবর্তী ও সুমিত দে। তাঁদের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনাতেই। রবিবার ধৃতদের আদালতে পেশ করে ১০ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল পুলিশ৷ আদালত ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শ্রীকান্ত জগন্নাথারাও ইলওয়াড বলেন, ‘‘ধৃতদের কাছ থেকে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলার একাধিক ব্যক্তির নাম, ফোন নম্বর মিলেছে। কল-সেন্টারের আড়ালে প্রতারণা চক্র চলছিল। দু’জনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy