পানাগড়ের ছায়া এ বার মালদহে। উন্নয়নের কৃতিত্ব কার, তা নিয়েই ফের তরজায় শাসক-বিরোধী।
বর্ধমানের পানাগড়ে বাইপাসের উদ্বোধন করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র। কিন্তু তাঁর আগেই দুপুরে সেই রাস্তার উদ্বোধন করে দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক। এ বার প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল মালদহে। পুরাতন মালদহ ব্লকের ভাবুকে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার একটি রাস্তার শিলান্যাস নিয়ে শাসক তৃণমূলের সঙ্গে তরজায় জড়ালো কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার বিকেলেই ভাবুক পঞ্চায়েতের আটমাইল থেকে আন্ধারপোতা পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তার কাজের শিলান্যাস করছিলেন মালদহ জেলা পরিষদের তৃণমূলের সভাধিপতি সরলা মুর্মু। ভাবুকের লালদিঘি গ্রামে মঞ্চ গড়ে ৫ কোটি ৫২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দকৃত সেই রাস্তার শিলান্যাস অনুষ্ঠান হয়েছিল ঘটা করে। সেখানে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দুর্গেশ সরকার, পুরাতন মালদহ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুবোধ চৌধুরী-সহ অনেকেই ছিলেন।
তিনদিন পর, রবিবার বিকেলে একই রাস্তার শিলান্যাস করলেন উত্তর মালদহের কংগ্রেস সাংসদ মৌসম নূর। উপস্থিত ছিলেন এলাকার কংগ্রেস বিধায়ক ভূপেন্দ্রনাথ হালদার, হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক মোস্তাক আলম, জেলা পরিষদের পূর্বতন কর্মাধ্যক্ষ হামিদূর রহমানেরা।
একই রাস্তার দুবার শিলান্যাসে বেধেছে জোর তরজা। তৃণমূলের সভাধিপতি সরলা মুর্মু বলেন, ‘‘এই রাস্তাটি পাকা করার জন্য আন্দোলন করেছি। জেলা পরিষদের বোর্ড তৃণমূল দখলের পরই রাস্তার ডিপিআর করা হয়। প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তার কাজের দেখভাল জেলা পরিষদই করে। সেকারণে আমি বৃহস্পতিবার রাস্তার কাজের শিলান্যাস করেছি। শুনলাম এদিন সাংসদ একই রাস্তা শিলান্যাস করেছেন। এটা পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফায়দা লোটার চেষ্টা।’’ মৌসম পাল্টা বলেন, ‘‘কেন্দ্রের গাইডলাইন রয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তার কাজের শিলান্যাস বা উদ্বোধন সাংসদ করবেন। কিন্তু রাজনীতি করার জন্য সেদিন আমাকে বা এলাকার বিধায়ককে জানানো হয়নি। তাই আবার শিলান্যাস করলাম।’’ মৌসম আরও দাবি করেন, ‘‘এই রাস্তাটি মঞ্জুর হয়েছিল কেন্দ্রে ইউপিএ-২ সরকারের আমলে। আমরাই দরবার করেছিলাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy