Advertisement
E-Paper

দুই ওয়ার্ডে আগাম জয়ী হল তৃণমূল

দু’টি ওয়ার্ডে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গেলেন শাসক দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের ভাই-সহ দু’জন তৃণমূল প্রার্থী। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ঘটনা। ৭ এবং ১১ নম্বর দু’টি ওয়ার্ড থেকে এ দিন আরএসপি, বিজেপি এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৫ ০১:২১

দু’টি ওয়ার্ডে বিরোধী প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়ে গেলেন শাসক দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের ভাই-সহ দু’জন তৃণমূল প্রার্থী। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের ঘটনা। ৭ এবং ১১ নম্বর দু’টি ওয়ার্ড থেকে এ দিন আরএসপি, বিজেপি এবং কংগ্রেস প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নেন। ফলে, ওই দুটি আসন বিনা ভোটেই জিতে গেল তৃণমূল। আগামী ২৫ এপ্রিল গঙ্গারামপুর পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে পুরভোট। তার আগে এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি, ফোনে হুমকি ও বাড়ি বয়ে শাসানোর অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল বিরোধীরা। তার জেরেই প্রার্থীরা লড়াই থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন বলে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি এবং আরএসপি একযোগে অভিযোগ করেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।

গঙ্গারামপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিপ্লববাবুর ভাই প্রশান্তবাবুর বিরুদ্ধে মনোনয়ন পেশ করেও প্রত্যাহার করেছেন আরএসপির নারায়ণ সরকার, বিজেপির গোপাল কানু এবং কংগ্রেসের জয়ন্ত ঘোষ। ১১ নম্বর ওয়ার্ড থেকেও সিপিএমের জয়শ্রী রায়, বিজেপির রেখা লোহার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন। তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী নারায়ণ বিশ্বাস অভিযোগ করেন, “বাড়িতে গিয়ে চড়াও হয়ে, জোর করে তৃণমূল বাম প্রার্থীদের ভয় দেখিয়েছেন। ক্রমাগত চাপ দিয়ে মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করেছে। পুলিশ প্রশাসনকে মুখে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। লিখিত অভিযোগ করিনি।” তৃণমূল জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের পাল্টা অভিযোগ, “অন্য ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে শেষে ভোটে জিততে পারবে না বুঝতে পেরে মনোনয়ন তুলে নিয়েছেন।”

পুরভোটের নির্বাচন আধিকারিক তথা গঙ্গারামপুরের মহকুমাশাসক দেবাশিস বিশ্বাস দাবি করেন, “প্রার্থীদের কেউ চাপের মুখে পড়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের অভিযোগ করেননি। তাঁরা স্বেচ্ছায় প্রত্যাহার করে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।”

বিজেপির জেলা সম্পাদক শুভেন্দু সরকার বলেন, “হুমকি দিয়ে মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য করেছে তৃণমূল।” আরএসপির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বিমল সরকারের অভিযোগ, “সন্ত্রাসের জেরে ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আমাদের প্রার্থীরা মনোনয়ন তুলে নিতে বাধ্য হন।” একই ভাবে চাপ দিয়ে প্রার্থী প্রত্যহারের অভিযোগ তুলেছেন দক্ষিণ কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ও।

এ দিন বুনিয়াদপুরে মহকুমা শাসকের অফিসে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করেন পর্যবেক্ষক।

Trinamool municipal election Balurghat Congress BJP Suvendu Sarker
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy