Advertisement
E-Paper

মালদহ টাউনেও সকালে অশান্তি

ট্রেন না পেয়ে সিগন্যাল অকেজো করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রুপ-ডি নিয়োগের পরীক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, ডাউন ব্রহ্মপুত্র মেলের এসি কামরার কাচে ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ মে ২০১৭ ০২:৪০
সামাল: মালদহ টাউন স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের হঠানোর চেষ্টা পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

সামাল: মালদহ টাউন স্টেশনে বিক্ষোভকারীদের হঠানোর চেষ্টা পুলিশের। নিজস্ব চিত্র

ট্রেন না পেয়ে সিগন্যাল অকেজো করে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রুপ-ডি নিয়োগের পরীক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ তুলতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, ডাউন ব্রহ্মপুত্র মেলের এসি কামরার কাচে ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার সকালে গ্রুপ-ডি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়াল মালদহ টাউন স্টেশনে। ঘটনায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন আটকে যায় স্টেশনে। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জও করে রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানেরা। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু পরীক্ষার্থীকে আটকও করা হয়। তার পরই স্বাভাবিক হয় টাউন স্টেশন চত্বর। যদিও লাঠিচার্জ ও ট্রেনে ভাঙচুরের ঘটনা অস্বীকার করেছেন রেল পুলিশ ও রেলের কর্তারা।

স্টেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেন ধরার জন্য গত, শনিবার রাত থেকে হাজার হাজার বিহারের বাসিন্দা গ্রুপ-ডি পরীক্ষার্থী ভিড় জমান মালদহ টাউন স্টেশনে। ডাউন ব্রহ্মপুত্র মেলের টাউন স্টেশনে পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঢোকার কথা ভোর ৩টে ১০ মিনিটে। তবে ট্রেনটি আসে ৭টা ১০ মিনিট নাগাদ। আর ট্রেনটি ভিড়ে ঠাসা থাকায় মালদহ থেকে যাত্রীরা উঠতে না পারায় সিগন্যাল পাথর দিয়ে অকেজো করে দেয় পরীক্ষার্থীরা। তার পরই ট্রেনটির ইঞ্জিনে উঠতে যায় পাঁচ শতাধিক পরীক্ষার্থী।

ব্রহ্মপুত্র মেলের বাড়তি পাঁচটি কোচ দিতে হবে, এই দাবিতে স্টেশনে শুরু হয় বিক্ষোভ। স্টেশন ম্যানেজার হরেকৃষ্ণ সিংহ বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এমনকী, রেল পুলিশ ও রেল সুরক্ষা বাহিনীর জওয়ানদেরও ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় বাড়তি আরপিএফ গিয়ে লাঠিচার্জ করে। এর জেরে স্টেশনে প্রায় ৩০ মিনিট আটক থাকে গরিব রথ, কর্মভূমি এক্সপ্রেস ও একটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন। সেই সঙ্গে আটক করা হয় প্রায় দশ জন পরীক্ষার্থীকে।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, ‘‘ভোর অপেক্ষা করছি। ট্রেনে উঠতেও পারিনি। স্টেশন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে উল্টে আমাদের উপরে লাঠিচার্জ করা হয়।’’ যদিও লাঠিচার্জ করা হয়নি বলে দাবি করেছেন রেল পুলিশ ও রেল কর্তৃপক্ষ। মালদহের জিআরপির আইসি কৃষ্ণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘‘ট্রেনে উঠতে না পেরে সামান্য গোলমাল দেখায় কিছু পরীক্ষার্থী। আমরা কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে দিয়েছি।’’ মালদহ টাউন স্টেশন ম্যানেজার হরে কৃষ্ণ বাবু বলেন, ‘‘লাইনে তিন জায়গায় পাথর দিয়ে সিগন্যাল অকেজো করে দেওয়া হয়েছিল। যার জন্য কয়েকটি ট্রেন কিছুক্ষণের জন্য দাঁড়িয়েছিল। পরে লাইন পরীক্ষা করে ট্রেন চালিয়েছি।’’

Unrest Maldah Station
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy