Advertisement
১৭ মে ২০২৪

মণ্ডপে বাজিমাতের চেষ্টা

অষ্টমীর রাতে ভিড় টানতে পুজো কমিটির কর্তারা কেউ মণ্ডপের সামনে বসান ছোটাখাটো মেলা, কেউ নাগরদোলা। কিন্তু প্রধান আকর্ষণ তো মণ্ডপ আর মূর্তি।

নারায়ণ দে
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৮
Share: Save:

অষ্টমীর রাতে ভিড় টানতে পুজো কমিটির কর্তারা কেউ মণ্ডপের সামনে বসান ছোটাখাটো মেলা, কেউ নাগরদোলা। কিন্তু প্রধান আকর্ষণ তো মণ্ডপ আর মূর্তি। আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের বড় বাজেটের বেশ কয়েকটি পুজোর সেই প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। কেউ মণ্ডপ করছেন ফল ও গাছের বীজ দিয়ে, কেউ হোগলা পাতা দিয়ে।

আলিপুরদুয়ারের অন্যতম বড় পুজো শান্তিনগর উপল মুখর ক্লাব দুর্গা পুজো এ বার প্রায় ৭০ ফুট উচু মণ্ডপ করছে। পুজো কমটির কর্তা বিষ্ণূ ভৌমিকের দাবি, বাজেট প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। নবদ্বীপের কারিগর দিয়ে এ বছরে কাল্পনিক মণ্ডপ হচ্ছে মাঠে। মণ্ডপের গাছে থাকছে বিভিন্ন ফল গাছের বীজ গিয়ে মডেল ও কারুকাজ। রাজপথ থেকে পুজো মণ্ডপে দর্শনার্থীদের টানতে চন্দননগরের বাহারি আলোর ব্যবস্থা রাখছেন উদ্যোক্তারা। নিয়ম মেনে মণ্ডপে থাকছে একচালার দুর্গা প্রতিমা। কমিটির কর্তারা জানান পুজোর সময় মণ্ডপের সামনে রীতিমতো মেলা বসে যায়।

পিছিয়ে নেই আলিপুরদুয়ার হোয়াইট হাউসের পুজোও। দর্শনার্থীদের নজর কাড়তে নবদ্বীপের কারিগর দিয়ে চলছে মণ্ডপসজ্জার কাজ। মূলত হোগলাপাতা ও বাঁশের কারুকাজ করে ফুটিয়ে তোলা মন্ডপ। কমিটির তরফে সুরজ দে রায় জানান, এ বছর বাজেট প্রায় আট লক্ষ টাকা। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় বাজেট বাড়তে পারে। রাস্তায় থাকবে চন্দননগরের আলোক সজ্জা। সপ্তমীর সন্ধ্যা থেকে নবমীর রাত পর্যন্ত চলে কয়েক লক্ষ দর্শনার্থীর ভীড়। রাস্তার ধারে বসে পড়ে নানা ধরনের খাবার দোকান।

বাবুপাড়া ক্লাব এ বছর ভিড় টানতে দক্ষিণেশ্বর, বেলুড় মঠ সহ একাধিক মন্দিরের অনুকরণে তৈরি করছে মণ্ডপ। ভিতরে থাকবে ঝিনুক ও কড়ি দিয়ে নানা কারুকাজ। কমিটির তরফে অরিজিৎ পোদ্দার জানান, বাজেট প্রায় ৭ লক্ষ। পশ্চিম ইটখোলা উদয় মন্দির ক্লাব এ বছর ঢাক ও কুলো দিয়ে তৈরি করছে মণ্ডপ। সঙ্গে থাকছে ঢালাও খিচুড়ির ব্যবস্থা। কমিটির সম্পাদক সমর ভট্টাচার্য জানান, ‘‘পুজোর সময় ঢাকের আওয়াজ ও কুলোতে প্রদীপ জ্বালিয়ে সবাই দেবীকে বোধন করি। তাই এ বছর ঢাক ও কুলোকে থিম করা হয়েছে।’’ বাজেট ৭ লক্ষ ছাড়াবে। মণ্ডপ তৈরির জন্য কৃষ্ণনগর থেকে কারিগর আনানো হয়েছে।

পিছিয়ে নেই স্টেশন পাড়া ক্লাবও। কাল্পনিক মন্দির তৈরী হচ্ছে কাচ ও থার্মকল দিয়ে। ‘সেফ ড্রাইভ ও সেভ লাইফ’কে মাথায় রেখে এ বার অসুরের মাথায় হেলমেট পরানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কমিটির তরফে বেণু দে জানান, ‘‘বাজেট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। থাকছে চন্দননগরের আলোক সজ্জা। মিলন সংঘ পুজো কমিটির তরফে তুলসী রায় জানান, তাঁদের বাজেট প্রায় সাত লক্ষ টাকা। মণ্ডপ হচ্ছে লাল কেল্লার আদলে। দর্শনার্থীদের নজর কাড়ার জন্য থাকবে আধুনিক আলোকসজ্জা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Big budget Durgapuja
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE