Advertisement
E-Paper

Raiganj: মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন দেবশ্রী, বিস্ফোরক কৃষ্ণ, পাগলের প্রলাপ বলে ওড়ালেন প্রাক্তন মন্ত্রী

রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৩:০৩
রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী।

রায়গঞ্জের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। —নিজস্ব চিত্র।

দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে আগেই ‘বেসুরো’ হয়েছিলেন। এ বার রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। দেবশ্রী মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করলেন তিনি। এমনকি, তিনি দলের রাজ্য সভাপতি হওয়ারও স্বপ্ন দেখছেন বলে দাবি কৃষ্ণের। অবশ্য কৃষ্ণের এই দাবিকে পাত্তা দিতে নারাজ দেবশ্রী। তাঁর মন্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে রায়গঞ্জে বিধায়ক এবং সাংসদের এই চাপানউতরে কার্যত অস্বস্তিতে বিজেপি।

উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই তোপ দেগেছিলেন কৃষ্ণ। রবিবার সাংসদ দেবশ্রী এবং বিজেপি-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি, জেলায় যাবতীয় দলীয় কর্মসূচি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও ঘোষণা করেন। এর পর তাঁর অনুগামীরা রায়গঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় দলীয় কার্যালয় থেকে দেবশ্রীর ছবি ঢেকে দেওয়ায় জেলার রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য বেড়েছে। তবে কৃষ্ণের মন্তব্য, “যে ভাবে আমার জনপ্রিয়তা বাড়ছে, তাতে আমাকে দল থেকে বার করার চক্রান্ত করছেন দেবশ্রী। আমাকে যখন সহ্যই হচ্ছে না, তা হলে আমার পাশে ওঁর ছবি কেন থাকবে?”

এখানেই থেমে থাকেননি কৃষ্ণ। তাঁর দাবি, “দেবশ্রী তো রায়গঞ্জ থেকে বিধানসভার ভোটে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তিনি নাকি মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়েও ছিলেন। এখন স্বপ্ন দেখছেন রাজ্য সভাপতি হবেন। উনি রাজ্য সভাপতি হলে ১০ জন বিধায়কও বিজেপি-তে থাকবে না। একটি খবরের কাগজে পড়লাম যে তিনি বলেছেন, আমি নাকি মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছি। আমি কোনও কিছু হারাইনি। হারিয়েছেন তো তিনি। ওঁর মন্ত্রিত্ব গিয়েছে।”

কৃষ্ণের বিস্ফোরক মন্তব্যের পরও তাঁর বিরুদ্ধে পাল্টা বক্তব্যে নারাজ দেবশ্রী। তিনি বলেন, “আমি এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। পাগলের প্রলাপ, তার পিছনে ছুটব না। আমার রাজনৈতিক আয়ু ৩২ বছর। এত দিন ধরে সংগঠনের কাজ করছি। তিনি (কৃষ্ণ) যা মনে করছেন, বলছেন।”

প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রীর হাত ধরে পদ্ম শিবিরে আসা কৃষ্ণর। সেই দেবশ্রীর সঙ্গে মতবিরোধ কিসের ঈঙ্গিত? তবে কি কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক সৌমেন রায়ের মতোই দল ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়ার পথে হাটছেন তিনি? রায়গঞ্জে সাংসদ-বিধায়ক দ্বন্দ্বের পর উঠছে এ ধরনের একাধিক প্রশ্ন। যদিও দলবদলের জল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে কৃষ্ণের সাফ উক্তি, “অন্য রাজনৈতিক দল থেকে কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।”

BJP TMC Krishna Kalyani Debasree Chaudhuri raiganj
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy