আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এ বার ‘রেকর্ড’ পরিমাণ আলু উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে মালদহে। তাই, মরসুমের শুরুতেই কৃষকদের জন্য হিমঘরের দুয়ার খুলতে তৎপর রাজ্য সরকার। আগামী ১ মার্চ দক্ষিণবঙ্গে এবং ৭ মার্চ উত্তরবঙ্গের হিমঘরগুলিতে আলু মজুতের প্রক্রিয়া শুরু হবে, জানিয়েছে প্রশাসনের। শনিবার থেকেই আলুর বন্ডের জন্য কৃষকদের থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে, দাবি প্রশাসনের। এ ছাড়া আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজারি রুখতে কৃষকদের আবেদনপত্র ত্রিস্তরীয় পদ্ধতিতে যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
ইতিমধ্যে, হিমঘর কর্তৃপক্ষ, কৃষি ও কৃষি বিপণন দফতর এবং ব্লক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া। সে বৈঠকে হাজির ছিলেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রফিকুল হোসেনও। নীতিন সিংহানিয়া বলেন, “কৃষকেরা হিমঘরে যাতে সঠিক ভাবে আলু মজুত রাখতে পারেন, তার জন্য বৈঠক হয়েছে। আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজির অভিযোগ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এ ছাড়া কৃষকদের বন্ডের বিষয়ে সচেতন করতে প্রচারও শুরু হয়েছে।”
কৃষি দফতরের দাবি, এ বারে সার নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ ওঠায় জেলায় দেরিতে আলুর চাষ শুরু হয়েছে। তার পরেও আবহাওয়া অনুকূল থাকায়, এ বার জেলায় রেকর্ড পরিমাণ আলু উৎপাদন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে জমি থেকে আলু উঠতে শুরু করবে। এমন অবস্থায় কৃষকেরা যাতে হিমঘরে আলু মজুত রাখতে পারেন, তার জন্য প্রশাসনের অন্দরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, এ দিন থেকেই আলুর বন্ডের জন্য কৃষকেরা ব্লক কৃষি দফতরে আবেদনপত্র জমা করছেন। সেই আবেদনপত্র বিডিওর হাত ঘুরে কৃষি বিপণনের মাধ্যমে জেলাশাসকের হাতে পৌঁছবে। এর পরেই, হিমঘরে কৃষকেরা আলু মজুত করতে পারবেন।
অভিযোগ, প্রতি বছর জেলায় আলুর বন্ড নিয়ে কালোবাজারির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, কৃষক সেজে ফড়েদের একাংশ হিমঘরে আলু মজুত রেখে চলে যায়। আর কৃষকদের আলু জমি কিংবা বাড়িতেই থেকে যায়। তাই, এ বার মরসুমের শুরু থেকেই হিমঘরে আলু মজুতের প্রক্রিয়ায় জোর দিয়েছে প্রশাসন। মালদহের হিমঘর সংগঠনের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা বলেন, ‘‘প্রকৃত কৃষকেরা যাতে আলু মজুত রাখতে পারেন, তার জন্য হিমঘর মালিকেরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)