Advertisement
২৪ মে ২০২৪

দ্বন্দ্ব রুখতে কী করছেন গৌতম, প্রশ্ন

তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতা-কর্মীদের একাংশের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কেন জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব সামাল দিতে পারছেন না তা নিয়ে দলের বৈঠকেই প্রশ্ন উঠল। তৃণমূলের অন্দরের খবর, শনিবার শিলিগুড়িতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘরে তৃণমূলের বর্ধিত দার্জিলিং জেলা কমিটির বৈঠক হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০১৫ ০১:২৯
Share: Save:

তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতা-কর্মীদের একাংশের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কেন জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব সামাল দিতে পারছেন না তা নিয়ে দলের বৈঠকেই প্রশ্ন উঠল।

তৃণমূলের অন্দরের খবর, শনিবার শিলিগুড়িতে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের হলঘরে তৃণমূলের বর্ধিত দার্জিলিং জেলা কমিটির বৈঠক হয়। সেখানেই সদ্যসমাপ্ত শিলিগুড়ি পুরভোটে বোর্ড দখল করতে না-পারার কারণ নিয়ে অনেকেই সরব হন। দল সূত্রেই জানা গিয়েছে, একাধিক জেলা নেতা গোষ্ঠী কোন্দল ও অন্তর্ঘাত রুখতে না-পারার জন্যই পুরভোটে বিপর্যয় হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। যে হেতু গৌতমবাবুই দলের জেলা সভাপতি তাই তিনি কী পদক্ষেপ করেছেন সে কথাও অনেকে জানতে চান।

বৈঠকের পরে জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘‘পুরভোটের পর্যালোচনা হয়েছে। নানা প্রশ্ন উঠেছে। যাঁরা প্রসঙ্গগুলি তুলেছেন তাঁদের লিখিত ভাবে সে সব জানাতে বলেছি। তার পরেই বিষয়টি দেখা হবে।’’ সেই সঙ্গে মন্ত্রী জানান, ৪৭ জন প্রার্থী যাঁরা পুরভোটে ভোটে দলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের নির্বাচনী এজেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে দলের সভাপতিদের নিয়ে আলাদা করে আলোচনায় বসা হবে।

বিশেষ করে যে সমস্ত দলীয় প্রার্থী পুর নির্বাচনে হেরেছেন তাঁরা নিজেদের হারের জন্য দলের অন্দরে কোন্দলকে দায়ী করেছেন। তাঁদের দাবি সে কারণেই একযোগে কাজ করেননি এলাকার সমস্ত কর্মীরা। বরং ভিতরে ভিতরে তাঁরা অন্তর্ঘাত করেছেন। দলের তরফে বিষয়টি দেখা উচিত। কোনও নেতা নরমেগরমে বলতে গিয়ে সভাতে মন্ত্রী তথা জেলাসভাপতির নাম উল্লেখ করে বলেন, বেশ কিছু উন্নয়ন কাজ তিনি করেছেন। অথচ তার পরেও হারতে হল কেন? দলের অন্তরের কোন্দলই যে এর জন্য দায়ী সেই বার্তা দিয়েছেন তাঁরা।

এমনকী এ দিনের সভায় বিভিন্ন ব্লক থেকে আসা নেতারাও পুরভোটের ভরাডুবির জন্য দলে নিজেদের মধ্যে গোলমালের বিষয়টি উল্লেখ করে জানান, এর বিরুদ্ধে জেলা নেতৃত্ব ব্যবস্থা নিতে না পারলে মহকুমা পরিষদের ভোটেও পরিণতি খারাপ হবে।

বস্তুত, পুরভোটে বিরোধী শক্তিগুলি য়েখানে তলে তলে এক জোট হয়ে লড়ে নিজেদের ভোট ব্যাঙ্ক ঠিক রাখতে সচেষ্ট হয়েছে সেখানে শাসক দল তৃণমূল নিজেদের মধ্যে কোন্দলের জেরেই যে পুরভোটে তাদের আশাভঙ্গ হয়েছে সে কথা এ দিন বৈঠকে তুলে ধরেছেন বহু নেতাই। এমনকী এখনও যে দলের মধ্যে সেই কোন্দল বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে গিয়েছে সেই প্রসঙ্গও তুলেছেন কয়েক জন নেতা। দলেরই একটি সূত্র জানিয়েছে, এক নেতা বলেছেন সম্প্রতি পুরসভার বিরোধী দলনেতা নিবার্চন নিয়ে পূর্ত দফতরের বাংলোয় যে বৈঠক হয়েছে সেখানে দলের অন্দরের কোন্দল স্পষ্ট হয়েছে বলে। এমনকী উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দলের অনুগামী কর্মচারীরাও নিজেদের মধ্যে কোন্দলে জড়িয়ে দুটি গোষ্ঠীতে ভাগ হয়ে চলছে বলে মত দেন কয়েকজন নেতা। এই বিষয়গুলি যে দলের বিভিন্ন স্তরে খারাপ বার্তা দিচ্ছে তা রোখার দাবি উঠেছে।

এমনকী প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে স্থানীয় কমিটির আলোচনাকে প্রাধান্য না নিয়ে ব্যক্তি মতামতকে চাপিয়ে দেওয়াতে তার ফল খারাপ হয়েছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE