পাটের জমি থেকে উদ্ধার হল এক মহিলার বিবস্ত্র রক্তাক্ত মৃতদেহ। বুধবার সকালে ঘটেছে মালদহের মোথাবাড়ির পঞ্চানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন আজগুবি টোলা গ্রামে। এই ঘটনায় গ্রাম জুড়ে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। এছাড়া তাঁর মুখেও আঘাত করা হয়েছে। ফলে এ দিনই মোথাবাড়ি ফাঁড়িতে গণধর্ষণের পর খুনের মামলা দায়ের করেছেন পরিবারের লোকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। প্রাথমিক ভাবে অনুমান ওই মহিলা গণধর্ষণ করা হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরই স্পষ্ট জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুষ্কৃতীদেরও খোঁজ করা হচ্ছে।’’
স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, ৩৮ বছর বয়সের ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। ওই মহিলারা চার বোন এবং দুই ভাই। মহিলা ছিলেন তৃতীয়। প্রত্যেকের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তবে এই মহিলা বিয়ে করেননি। তাঁর বাবা নিজের জমিতে চাষবাস করতেন। তিনি বছর সাতেক আগে মারা যান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মহিলা দিনভর গ্রামে ঘুরে বেড়াতেন তিনি। গত মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ খাওয়া দেওয়া করে বাড়ি থেকে বের হন ওই মহিলা। তবে রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, রাতে প্রায় আত্মীয়দের বাড়িতে থেকে যেতেন তিনি। ফলে রাতে আর তাঁর খোঁজ খবর করা হয়নি। এদিন সকালে গ্রামেরই একটি পাটের জমির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় ওই মহিলার নগ্ন এবং রক্তাক্ত মৃতদেহ। স্থানীয় বাসিন্দারা জমিতে কাজ করতে গিয়ে মৃতদেহটি দেখতে পান। পরে পরিবারের লোকেরা গিয়ে মৃতদেহটি সনাক্ত করেন। বাড়ি থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রাম জুড়ে ব্যাপক হইচই পড়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
পুলিশ জানিয়েছে, পাটের জমির প্রায় ২০ মিটার অংশ লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া ওই মহিলার পরনের ওড়না ও পোশাক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখে ভারী বস্তু দিয়ে মারধর এবং গলায় ফাঁসের চিহ্ন রয়েছে। ওই মহিলার দাদা বলেন, ‘‘আমার বোনকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে। আমরা ফাঁড়িতে লিখিত ভাবে অভিযোগ করেছি। আমরা চাই যারা এমন কাজ করেছে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।’’
মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা করেছেন এলাকার কংগ্রেসের বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েদের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হল। এটা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশকে বলেছি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করে শাস্তি দেওয়া হোক।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চোর ধৃত। আইনজীবীর বাড়ির দোতালায় উঠেছিল তিন দুষ্কৃতী! এরপর আইনজীবীর বাবা ও স্ত্রীর উপরে রাসায়নিক স্প্রে করে টাকা-অলঙ্কার হাতানোর পর ফ্রিজ থেকে ক্ষীর বের করে আয়েশ করে খেয়ে সুখটান দিয়েছিল সিগারেটেও। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। মালদহের চাঁচলে আইনজীবীর বাড়িতে চুরির ঘটনার দুসপ্তাহের মাথায় পুলিশের জালে ধরা পড়ল ক্ষীর খেয়ে পালানো দুই চোর। মঙ্গলবার রাতে শহরেরই একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয়েছে খোয়া যাওয়া কিছু টাকাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy