Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

নির্যাতিতাকে দেখলেন লীনা

এ দিন লীনাদেবীর সঙ্গে কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন-সহ তিন সদস্য, রত্না ঘোষ, অর্চনা ঘোষ সরকার, শ্রবন্তী বসু বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৪
Share: Save:

জেলা সফরে এসে মঙ্গলবার মালদহ মেডিক্যালে কুশমণ্ডির নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বুধবার দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়।

এ দিন লীনাদেবীর সঙ্গে কমিশনের ভাইস চেয়ারপার্সন-সহ তিন সদস্য, রত্না ঘোষ, অর্চনা ঘোষ সরকার, শ্রবন্তী বসু বন্দ্যোপাধ্যায়ও ছিলেন। ওই নির্যাতিতা মঙ্গলবার অনেক চেষ্টা করেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলতে পারলেও এ দিন লীনাদেবীর সঙ্গে কিন্তু কথা বলেন অনেকটাই। লীনাদেবী বলেন, ‘‘আমরা যে সমস্ত প্রশ্ন তাঁকে করেছি তিনি উত্তর ঠিকঠাক দিয়েছেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘নির্যাতিতা এ দিন স্থানীয় এক ব্যক্তির নাম বলেছে। সেই নামটি সম্ভবত ডাকনাম। দুজন গ্রেফতার হয়েছে তাঁদের মধ্যে সেই ব্যক্তি রয়েছে কিনা তা পুলিশই জানাতে পারবে।’’

এ দিন হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিউ সার্কিট হাউসে তাঁরা মালদহের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের সঙ্গে বৈঠক করেন। লীনাদেবী জানিয়েছেন, পরে পুলিশ সুপারের সঙ্গেও তাঁরা কথা বলবেন।

শনিবার সন্ধেয় ইটাহারে শিবরাত্রি মেলায় গণধর্ষণের শিকার হন ওই যুবতী। তাঁর যৌনাঙ্গে ধাতব কিছু দিয়ে আঘাতও করা হয়েছিল। সেই অবস্থাতেই তিনি পরেরদিন বিকেল অবধি পড়েছিলেন। মালদহ মেডিক্যালে সিসিইউতে ভর্তি রেখে তাঁর চিকিত্সা চলছে। হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ বলেন, ‘‘এ দিন ওই মহিলার অনেকটা উন্নতি হয়েছে। তিনি কথাও বলতে পারছেন।’’

এ দিকে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য, পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ, হাসপাতালের সুপার। এ দিন লীনাদেবী মালদহ মেডিক্যালের চিকিত্সার ভূয়সী প্রশংসাও করেন। তিনি বলেন, ‘‘মেয়েটির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। কিন্তু চিকিত্সকেরা মরণাপন্ন সেই রোগীকে অস্ত্রোপচার করেছেন। ঠিক সময়ে চিকিৎসাতেই তা সম্ভব হয়েছে। পাঁচ বোতল রক্ত লেগেছে।’’

এ দিন ওই নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন আরএসপির মহিলা সংগঠন নিখিলবঙ্গ মহিলা সংঘের রাজ্য সভানেত্রী সুচেতা বিশ্বাস-সহ চারজন নেত্রী। সুচেতাদেবীর অভিযোগ, চারজন গেলেও তিনিই শুধু দেখা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল অনুমতি দেয়নি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি যে মেয়েটির নামে প্রায় ২০ বিঘা জমি রয়েছে ও যেহেতু মেয়েটির পরিবারের কেউ নেই সে কারণে পরিকল্পিতভাবে তাঁকে খুন করে জমি হাতিয়ে নিতে চেয়েছিল অভিযুক্তরা।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE