Advertisement
১১ মে ২০২৪

জামিন মঞ্জুর যশপ্রকাশ দেবদাসের

দিন কয়েক আগে যশপ্রকাশের বাকি দুই সঙ্গী জামিন পেলেও যশপ্রকাশকে ফের বন দফতরের হেফাজতেই পাঠিয়েছিল আদালত৷ সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা৷

যশপ্রকাশকে নিয়ে আদালতের পথে। নিজস্ব চিত্র

যশপ্রকাশকে নিয়ে আদালতের পথে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৫০
Share: Save:

জামিন পেলেন জলপাইগুড়ি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার যশপ্রকাশ দেবদাস৷ সোমবার জলপাইগুড়ির আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করে৷

গত ১৮ নভেম্বর বানারহাট থেকে জলপাইগুড়ি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার যশপ্রকাশ দেবদাস-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে বন দফতর৷ বন দফতরের তরফে তাঁর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণীদের উত্যক্ত করা, ড্রোন ও অন্যান্য ক্যামেরা দিয়ে বন্যপ্রাণীদের ছবি তুলে তা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করা-সহ একাধিক অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়৷

যদিও দিন কয়েক আগে যশপ্রকাশের বাকি দুই সঙ্গী জামিন পেলেও যশপ্রকাশকে ফের বন দফতরের হেফাজতেই পাঠিয়েছিল আদালত৷ সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রবিবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে তাঁর জামিনের আবেদন করেন আইনজীবীরা৷ কিন্তু কেস ডায়রির আসল কপি আদালতে না থাকায় বিচারক যশপ্রকাশকে একদিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন৷

সোমবার ফের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনের শুনানি শুরু হয়৷ সেই আবেদনের পক্ষে বলতে গিয়ে যশপ্রকাশ দেবদাসের আইনজীবী তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অভিযোগে ড্রোন দিয়ে ছবি তোলার কথা বলা হলেও, মক্কেলের থেকে তা পাওয়া যায়নি৷ সেই সঙ্গে তাঁর মক্কেল যে বন্যপ্রাণীদের ছবি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতেন আদালতে সেই তথ্য প্রমাণও নেই বন দফতরের হাতে৷’’ সেইসঙ্গে কয়েকটি উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, বন্যপ্রাণের ছবি তোলার জন্য ভারত সরকার কাউকে পুরস্কৃত করবে, আর সেই ছবি তোলার জন্য বন দফতর কাউকে জেলে রাখবে, সেটা হতে পারে না৷

যদিও সৈকতবাবুর এইসব যুক্তির বিরোধিতা করেন সরকার পক্ষের আইনজীবী প্রদীপ চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি আদালতে বলেন, ‘‘বনের ভিতরে যশপ্রকাশের প্রবেশটাই বেআইনি ছিল৷ কিন্তু দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের জামিন মঞ্জুর করেন৷’’ পরে প্রদীপবাবু জানান, তদন্তের গতিপ্রকৃতি দেখেই বিচারক এই জামিন মঞ্জুর করেছেন৷ সৈকতবাবু বলেন, ‘‘বিচারব্যবস্থার প্রতি আমাদের আস্থা আগাগোড়াই ছিল৷ এ দিনের এই নির্দেশের পর সেই আস্থা আরও বেড়ে গেল৷’’ তবে বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ির বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও নিশা গোস্বামীরা সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE