Advertisement
০৩ জুন ২০২৪

নেশা করিয়ে খুন মেডিক্যালে

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সামনে করিডরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর দেহ দেখতে পান পরিচিতেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৬ ০১:২৬
Share: Save:

উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের সামনে করিডরে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর দেহ দেখতে পান পরিচিতেরা। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। নাম বিজয় বাঁশফোর(৩৮)। তিনি বামনহাট স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থশ্রেণির কর্মী। আগে তিনি হলদিবাড়ি হাসপাতালে চাকরি করতেন। হলদিবাড়িতে তাঁর ভাই থাকেন। বিজয়বাবুর মুখের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের কর্মীদের কোয়ার্টারে থাকেন। দিন কয়েক আগে বামনহাট থেকে তিনি এখানে এসেছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাসে খুনের ঘটনার অভিযোগ নিয়ে হইচই পড়েছে।

অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্যাম্পাসে মাদকাসক্তদের চক্র রয়েছে। পুলিশ এবং পরিবার সূত্রেই জানা গিয়েছে, বিজয়বাবুও নেশা করতেন। মেডিক্যালের মাদকাসক্তদের চক্রের খপ্পরে তিনি পড়েছিলেন বলে পরিবারের লোকদের সন্দেহ। তাঁরাই জানান, পুজোর মুখে বেতনের টাকা তুলেছিলেন বিজয়বাবু। তাঁর কাছে টাকা ছিল। সে কারণেই মাদকাসক্তরা তাঁকে মেরে টাকা নিয়ে পালিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছে পরিবারের লোকেরা।

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার নির্মল বেরা বলেন, ‘‘হাসপাতালের তরফে পুলিশকে বলা হবে। ক্যাম্পাসের মধ্যে এ ধরনের নেশার কারবার যাতে না চলে, সে জন্য পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলব।’’ পুলিশের তরফে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ কমিশনার চেলিং সেমিক লেপচা বলেন, ‘‘বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

হাসপাতাল চত্বরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন বিভিন্ন সময়েই উঠেছে। রোগীর পরিজনদের নেশার ওষুধ খাইয়ে বেহুঁশ করে যথা সর্বস্ব কেড়ে নেওয়ার ঘটনাও একাধিকবার ঘটেছে। মহিলা চিকিৎসক, নার্সদের ব্যাগ, গলার হার ছিনতাইয়ের চেষ্টা নিয়েও অনেক সময় অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। এ দিন খুনের অভিযোগের পর কর্মীদের একাংশ সন্ধ্যার পর মেডিক্যালের ক্যাম্পাসের পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। রামসুন্দর মল্লিক নামে হাসপাতালের এক কর্মীর কথায়, মদকাসক্তদের ছয়, সাত জনের একটি চক্র রয়েছে।

বিজয়বাবুর ভাই সঞ্জয় বলেন, ‘‘দাদাকে নেশা করিয়ে বেহুঁশ করে খুন করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। মুখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’’ পরিবারের লোকেরাই জানান, মঙ্গলবার রাত সাতটা নাগাদ শেষবার কোয়ার্টারে এসেছিলেন বিজয়বাবু। তখন তিনি অল্প বিস্তর নেশা করেছিলেন। রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি দেখে খোঁজ শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। তবে তাঁরা খুঁজে পাননি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE