আগুন লেগে একই পরিবারের তিন সদস্যের মৃত্যুর ঘটনার কুড়ি দিন পরে অবশেষে গ্যাস সিলিন্ডারের ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠাল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সিলিন্ডারটি পরীক্ষার জন্য কলকাতায় পাঠিয়েছে প্রধাননগর থানার পুলিশ। শিলিগুড়ির চম্পাসারিতে ২ মে আগুন লেগে উত্তম সাহা, তাঁর স্ত্রী আদরীদেবী এবং ১২ বছরের মেয়ে বন্দনার মৃত্যু হয়। গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই বাড়িতে আগুন লেগে যায় বলে পরিবারের সদস্যরা সে দিন রাতেই প্রধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। গ্যাস সিলিন্ডার ‘লিক’ ছিল কিনা জানতে ফরেন্সিক পরীক্ষার দাবি তোলে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। চাপে পড়ে গত ১৬ মে পুলিশের তরফে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ করা হয়। সপ্তাহ খানেক বাদে পরীক্ষার জন্য কলকাতার বেলগাছিয়ায় ফরেন্সিক পরীক্ষা কেন্দ্রে সিলিন্ডার পাঠায় পুলিশ। শিলিগুড়ির পুলিশের এক কর্তা জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে। পুলিশের তরফে সব রকম পদক্ষেপ করা হয়েছে।”
ঘটনার কুড়ি দিন পরে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য সিলিন্ডার পাঠানো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। অভিযোগ, পরীক্ষার জন্য সিলিন্ডার পাঠাতে দেরি হওয়ায় তদন্তও পিছিয়ে গিয়েছে। সিলিন্ডার ‘লিক’ থাকার কারণেই তিন জনের মৃত্যু হওয়ার মতো স্পর্শকাতর অভিযোগ ওঠার পরেও তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে সংগঠন। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করার পরে আদালতের নির্দেশ মেনে ফরেন্সিক গবেষণাগারে সিলিন্ডার পাঠানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াতেই কিছুটা সময় লেগে যায়। ঘটনার পরে মৃতদের পরিবার এবং এলাকাবাসীদের সঙ্গে আন্দোলনে নামে শিলিগুড়ির বৃক্ষ পশু মানুষ বন্ধু সমিতি নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সংস্থার আইনি পরামশর্র্দাতা অলোকেশ চক্রবর্তী বলেন, “প্রথম দিনই ফরেন্সিক পরীক্ষার দাবি তুলেছিলাম। সে দিনই পুলিশ পদক্ষেপ করলে, এত দিনে পরীক্ষার রিপোর্টও চলে আসত। তা না করে কেন অপেক্ষা করা হল তাই ঠিক বোঝা গেল না। পুলিশের পরবর্তী পদক্ষেপ দেখার অপেক্ষায় আছি।”
শিলিগুড়ির গ্যস সরবারহকারী সংস্থার কর্ণধার বাপি দাস বলেন, “আমাদের তরফে কোনও ত্রুটি নেই। পুলিশকে সহযোগিতা করছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy