Advertisement
০৩ মে ২০২৪

কলেজে ঘেরাও, ভাঙচুর, অভিযুক্ত ফের টিএমসিপি

ফের কলেজে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও ও ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মালদহের সামসি কলেজে শুক্রবার বিকেলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। টিএমসিপি-র অবশ্য দাবি, তারা ঘেরাও ও ভাঙচুর করেনি, আন্দোলন করতে কলেজে গিয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অবশ্য অভিযোগ, “আন্দোলনকারীরাই আমাদের ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছে।”

নিজস্ব সংবাদদাতা
চাঁচল ও মালদহ শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:৫১
Share: Save:

ফের কলেজে ঢুকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও ও ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। মালদহের সামসি কলেজে শুক্রবার বিকেলে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চলে। টিএমসিপি-র অবশ্য দাবি, তারা ঘেরাও ও ভাঙচুর করেনি, আন্দোলন করতে কলেজে গিয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অবশ্য অভিযোগ, “আন্দোলনকারীরাই আমাদের ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছে।”

বিভিন্ন কলেজে বিক্ষোভ, ভাঙচুরের ঘটনার পরে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, শিক্ষাঙ্গনে অশান্তি সহ্য করা হবে না। যাদবপুর কাণ্ডের পরে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে পোস্ট করেন, “আমরা শিক্ষাক্ষেত্রে গুণ্ডামির নিন্দা করি। ঘেরাও ও অশান্তির রাজনীতি সমস্যার সমাধান করতে পারে না।” তার পরেও দুঃস্থ কোটায় আরও ১৩০ জনকে ভর্তি করানোর জন্য সামসি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করা হয় এ দিন। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক বলেন, “টিএমসিপি-ই সামসি কলেজে ঘেরাও ও ভাঙচুর করেছে। আমরা জেলাশাসকের কাছে তদন্তের দাবি জানিয়েছি।” পড়ুয়ারাও জানিয়েছেন, এ দিনের ঘটনায় যাঁরা জড়িত, তাঁরা সকলেই টিএমসিপি-র পরিচিত মুখ।” টিএমসিপি-র সামসি কলেজ ইউনিটের সম্পাদক স্বীকার করেন, তাঁরা কলেজে গিয়েছিলেন। তবে তাঁর দাবি, “আমরা ঘেরাও করিনি। কারা ভাঙচুর করেছে, তা জানি না।”

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রলয়কান্তি ঘোষ ছুটিতে। এ দিন দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র বসুনিয়া। বিকেলে কলেজে হাজির হন টিএমসিপি-র নেতারা। শনিবার থেকে পুজোর ছুটি শুরু। তাই এ দিনই ওই ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি করানোর চাপ দিতে থাকেন। কর্তৃপক্ষ জানান, ওই কোটায় আর কাউকে ভর্তি করানো সম্ভব নয়। শিক্ষাকর্মীরাও জানান, এ ভাবে ভর্তি করানো যায় না। তার পরেই অফিসে ভাঙচুর শুরু হয়। ঘেরাও করা হয় নারায়ণবাবুকেও।

নারায়ণবাবু বলেন, “দুঃস্থ পড়ুয়াদের কোটায় ছাত্র ভর্তির বিষয়ে কিছুই জানি না। তা ওদের বোঝালেও ফল হয়নি। আন্দোলনকারীরা আমায় ঘেরাও করে ও কলেজে ভাঙচুর চালিয়েছে।” তিনি জানান, ঘটনাটি প্রলয়বাবুকে তিনি জানান। তার পরেই প্রলয়বাবু পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তবে পুলিশের কাছে কোনও অভিযোগ করা হয়নি। চাঁচলের আইসি তুলসিদাস ভট্টাচার্য অবশ্য জানিয়েছেন, কর্তৃপক্ষই পরে জানান, সমস্যা মিটে গিয়েছে, পুলিশ আসার দরকার নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

tmcp college chachol
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE